কলকাতা লিগ থেকে ডুরান্ড কাপ— দুঃসময় অব্যাহত মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। সোমবার যুবভারতীতে ডায়মন্ড হারবার এফসি-র বিরুদ্ধে ৩৬ মিনিটে অ্যাডিসন সিংহের গোলে এগিয়ে গিয়েও ১-২ হারল শতাব্দীপ্রাচীন ক্লাব। ডায়মন্ড হারবারের জার্সিতে সংযুক্ত সময়ে (৯০+১০ মিনিট) জয়সূচক গোল করে অভিষেক স্মরণীয় করে রাখলেনলুকা মায়সেন।
ডুরান্ড কাপে এ বার প্রথম খেলছে তারকাখচিত ডায়মন্ড হারবার। কয়েক দিন আগে কলকাতা লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনে মহমেডানকে ১-০ হারিয়েছিল কিবু ভিকুনার দল। কিন্তু সোমবার বৃষ্টিস্নাত যুবভারতীতে দেখা গেল সম্পূর্ণ উল্টো ছবি। বিদেশিহীন মহমেডান ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণের ঝড় তোলে। ৩৬ মিনিটে ১-০ করেন অ্যাডিসন। ঝড়ের গতিতে পেনাল্টি বক্সে ঢুকে নেওয়া তাঁর জোরালো শট গোলরক্ষক মির্শাদ মিচুর হাত ফস্কে গোলেঢুকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিতে শুরু করেন ডায়মন্ড হারবারের ফুটবলারেরা। ৫১ মিনিটে সমতা ফেরান সাইরুয়াতকিমা। ম্যাচের সেরাও হন তিনি। ধাক্কা সামলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেন অ্যাডিসনরা। কিন্তু একাধিক গোলের সুযোগ পেয়েও তার সদ্ব্যবহার করতে ব্যর্থ হন মহমেডানের ফুটবলারেরা। সজল বাগের দুরন্ত শট পোস্টে লাগে। ম্যাচেরএকেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করেন লুকা। গত মরসুমে আইএসএলে পঞ্জাব এফসি-র হয়ে ২০ ম্যাচে ১০টি গোল করেছিলেন স্লোভেনিয়ার এই স্ট্রাইকার। ডায়মন্ড হারবারের জার্সিতে মাঠে নেমে প্রথম ম্যাচেই গোল করলেন লুকা।
নাটকীয় জয়ের পরে ম্যাচের সেরা রুয়াতকিমা বলেছেন, ‘‘এটাই আমার প্রথম গোল। দারুণ আনন্দ হচ্ছে। কোচের নির্দেশ অনুযায়ী খেলেই আমরা জিতেছি।’’
ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে হারলেও ফুটবলারদের অদম্য লড়াইয়ে খুশি প্রাক্তন ফুটবলার তথা মহমেডান কর্তা দীপেন্দু বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, ‘‘পুরো দল অসাধারণ খেলেছে। কৃতিত্ব প্রাপ্য কোচ মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুরও। যে ভাবে ও দলকে খেলিয়েছে, তা অসাধারণ।’’ যোগ করেছে, ‘‘দুর্ভাগ্য, সজলের একটি শট পোস্টে লাগল। সংযুক্ত সময়ের শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে আমরা হেরে গেলাম। এর পরে আমাদের খেলা মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের বিরুদ্ধে। আশা করছি, এই দুর্দান্ত লড়াই থেকেই পরের ম্যাচের জন্য উজ্জীবিত হবে ছেলেরা।’’
এ দিকে ডুরান্ড কাপে মঙ্গলবার ঘরের মাঠে জামশেদপুর এফসি মুখোমুখি হচ্ছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর। লাজং এফসি খেলবে রাংদাজিদ এফসি-র বিরুদ্ধে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)