Advertisement
E-Paper

আনোয়ার আলি কি ইস্টবেঙ্গলে? ভারতীয় ডিফেন্ডারকে নিয়ে দুই প্রধানে দড়ি টানাটানি

মোহনবাগান থেকে কি পাকাপাকি ভাবে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন আনোয়ার আলি? ভারতের এই ডিফেন্ডারকে নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের মধ্যে। কোনও পক্ষই হাল ছাড়তে রাজি নয়।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০২৪ ২০:১৩
football

মোহনবাগানের জার্সিতে আনোয়ার আলি। — ফাইল চিত্র।

মোহনবাগান থেকে কি পাকাপাকি ভাবে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিয়েছেন আনোয়ার আলি? বৃহস্পতিবার দুপুর থেকেই এমন একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সমাজমাধ্যমে তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। তবে সূত্রের খবর, ভারতের এই ডিফেন্ডারকে নিয়ে দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের মধ্যে। কোনও পক্ষই হাল ছাড়তে রাজি নয়।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার ফুটবল কর্তা রঞ্জিত বজাজের একটি পোস্টকে ঘিরে। রঞ্জিত জানান, ফিফার নতুন নিয়মে কোনও ফুটবলারকে এক বছরের বেশি ‘লোনে’ রাখতে পারে না কোনও ক্লাব। সেই নিয়মের আওতায় পড়ছেন আনোয়ারও। মোহনবাগানে তিনি ইতিমধ্যেই লোনে এক বছর খেলে ফেলেছেন। ফলে এ বার তিনি পুরনো ক্লাব দিল্লি এফসি-তে ফিরে যাবেন। সেখান থেকে আইএসএলের কোনও দলে পাকাপাকি ভাবে সই করার চেষ্টা করবেন। একাধিক ক্লাবের প্রস্তাবও নাকি তাঁর কাছে রয়েছে। আনোয়ার নিজেও মোহনবাগানের কাছে চুক্তির বিচ্ছেদ চেয়ে আবেদন করেছেন।

সূত্রের খবর, ইস্টবেঙ্গলের এক কর্তা নাকি দিল্লিতে গিয়েছেন। সেখানে আনোয়ারকে চার বছরের জন্য সই করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কাগজে সইসাবুদ করা এখনও বাকি বলেই জানা গিয়েছে। করে ফেললেও এত সহজে আনোয়ারের ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ মোহনবাগান দলের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডারকে ছাড়তে নারাজ।

মোহনবাগানের দাবি, আনোয়ার চার বছরের লোনে সবুজ-মেরুনে এসেছেন। যখন তিনি সই করেছেন, তখন এই নিয়ম হয়নি। তা ছাড়া, ভারতীয় ফুটবলে এখনও এই নিয়ম চালু হয়নি। ফিফাও জানিয়েছে, ২০২২ সালে এই নিয়ম অনুমোদিত হলেও বিশ্বব্যাপী তা চালু হতে তিন বছর পর্যন্ত সময় নেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে, ২০২৫ পর্যন্ত সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থা বা এআইএফএফ-এর কাছে সময় রয়েছে এই নিয়ম চালু করার।

মোহনবাগান সূত্রের খবর, বিষয়টি নিয়ে আবেদন করতে পারে এআইএফএফ-এর প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে। সেখানে সুরাহা না মিললে ফিফার প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটিতে যেতে পারে। সেখানেও ব্যর্থ হলে ক্রীড়াক্ষেত্রে সর্বোচ্চ আদালত কোর্ট অফ আরবিট্রেশন ফর স্পোর্টস বা ক্যাস-এ যেতে পারে তারা। জল কোন দিকে গড়াবে, তা এখনও অজানা। ইস্টবেঙ্গল আনোয়ারকে ফুটবলার হিসাবে ঘোষণা করে দিলেও আইনি পথে যেতে বাধা নেই মোহনবাগানের।

রঞ্জিতের টুইটের পরেই মোহনবাগান আনোয়ারের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে। ক্যাপশনে লেখে, “কারা কারা ডুরান্ড কাপে আনোয়ারের ম্যাজিক দেখতে চান?” আনোয়ারকে নিয়ে মোহনবাগানের মনোভাব তাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে দাবি একাংশের।

Anwar Ali Mohun Bagan East Bengal
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy