Advertisement
০৫ মে ২০২৪
East Bengal

ডুরান্ডের শেষ চারে ইস্টবেঙ্গল, মঙ্গলবার আবার যুবভারতীতে নামছে লাল-হলুদ

ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার তারা গোকুলম কেরলকে হারিয়ে দিল ২-১ ব্যবধানে। বৃষ্টিভেজা যুবভারতীতে মশাল জ্বালালেন জর্ডান এলসে এবং নিশু কুমার।

football

গোলের পর সিভেরিয়োর (ডান দিকে) সঙ্গে উচ্ছ্বাস এলসের। ছবি: টুইটার।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৩ ১৯:৫৭
Share: Save:

ইমামি ইস্টবেঙ্গল ২ (এলসে, বৌবা-আত্মঘাতী) গোকুলম কেরল ১ (বৌবা)

ডুরান্ড কাপের সেমিফাইনালে উঠে গেল ইমামি ইস্টবেঙ্গল। শুক্রবার যুবভারতীতে তারা গোকুলম কেরলকে হারিয়ে দিল ২-১ ব্যবধানে। মঙ্গলবার নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে শেষ চারের লড়াইয়ে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল। এ দিন লাল-হলুদের হয়ে গোল করেন জর্ডান এলসে এবং নিশু কুমার। তবে নিশুর গোলটি বিপক্ষের ফুটবলারের গায়ে লেগে ঢোকায় সেটি আত্মঘাতী গোল দেওয়া হয়েছে।

জিতলেও ইস্টবেঙ্গলের খেলা নিয়ে কিছুটা চিন্তা রয়েই গেল। শুক্রবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হয়ে চলেছে। ম্যাচের সময়েও তার বদল নেই। টানা বৃষ্টিতে মাঠের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। ফলে লাল-হলুদ ফুটবলারেরা নিজেদের স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারেননি। পাসিং ফুটবল দেখা যায়নি বিশেষ। গোকুলমের কাছে বেশ কিছু সুযোগ এসেছিল। তারা কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচের ফলাফল অন্য রকমও হতে পারত। তবে এই ফল নিঃসন্দেহে আনন্দ দেবে দল এবং সমর্থকদের। গত কয়েক মরসুমে কোনও ট্রফিই জিততে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। এ বার মরসুমের প্রথম ট্রফি থেকে মাত্র দুই ধাপ দূরে তারা।

তখনও দর্শকেরা নিজেদের আসনে ভাল করে হয়তো বসতেও পারেননি। তার আগেই এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। ৩০ সেকেন্ডের মাথায় একটি কর্নার পায় তারা। কর্নার থেকে ছোট পাসে বল আসে নাওরেম মহেশের কাছে। তিনি বক্সের মধ্যেই বল ভাসান। সেখান থেকে হেডে গোল করেন জর্ডান এলসে। শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় তখন যুবভারতীর লাল-হলুদ সমর্থকেরা আনন্দে উত্তাল।

প্রথম গোল পেয়ে যাওয়ার আরও তেড়েফুড়ে খেলা শুরু করে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু কিছুতেই ভাল সুযোগ আসছিল না। বৃষ্টিতে মাঠের অবস্থা খুব একটা ভাল ছিল না। ফলে ফুটবলরদের নিজেদের মধ্যে পাস খেলতে সমস্যা হচ্ছিল। খেলার গতিটাও কিছুটা কমে যায়। গোকুলমও যে আহামরি কিছু আক্রমণ করছিল তা নয়। কিন্তু গোলের মুখ সে ভাবে খুলতে পারছিল না তারা।

৩২ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল ইস্টবেঙ্গলের কাছে। কিন্তু ক্রেসপোর শট বারে লাগে। একটি কর্নারের পর বল এসেছিল ক্রেসপোর কাছে। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর জোরালো শট বারে না লাগলে তখনই ২-০ এগিয়ে যেত ইস্টবেঙ্গল। তাঁর ছ’মিনিট পরে সিভেরিয়োর হেড বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ৪১ মিনিটে গোকুলমের অ্যালেক্সের শট দারুণ দক্ষতায় বাঁচান ইস্টবেঙ্গলের গোলকিপার প্রভসুখন গিল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আবার এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। ডিফেন্ডারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে আচমকাই এগিয়ে এসেছিলেন গোকুলমের গোলকিপার বাসিত। মহেশ তাঁর মাথার উপর দিয়ে বল গোলে ঢোকাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সফল হননি। ইস্টবেঙ্গলের খেলার মধ্যে কিছুটা ক্লান্তিভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছিল, যার সুযোগ নিতে দেরি করেনি গোকুলম। বাঁ দিক থেকে ক্রস ভাসিয়েছিলেন অভিজিৎ। অরক্ষিত অবস্থায় থাকা গোকুলম স্ট্রাইকার অনায়াসে হেডে গোল করেন।

গোল খেয়েই জেগে ওঠে ইস্টবেঙ্গল। কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত নামিয়ে দেন দলের সেরা অস্ত্র ক্লেটন সিলভাকে। কিন্তু মাঠের অবস্থার কারণে ক্লেটনও নিজের খেলাটা খেলতে পারছিলেন। রক্ষণ সামলাতে জোসে পারদোকেও নামানো হয়। এমন সময় ইস্টবেঙ্গলের রক্ষাকর্তা হয়ে ওঠেন নিশু। বাঁ দিকে বল পেয়েছিলেন মহেশ। তিনি বক্সে না ভাসিয়ে ব্যাক পাস করেন নিশুকে। নিশু গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন, যা বৌবার গায়ে লেগে দিক বদলে জালে জড়িয়ে যায়।

বাকি সময়ে ইস্টবেঙ্গল যেমন রক্ষণ জমাট রাখে, তেমনই গোকুলমও হাজার চেষ্টা করে গোল করতে পারেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

East Bengal Durand Cup Gokulam Kerala
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE