আবার বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বিবাদ ইস্টবেঙ্গলের। — ফাইল চিত্র।
পড়শি ক্লাব মোহনবাগান যেখানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সেই আইএসএলেই নবম স্থানে শেষ করেছে ইস্টবেঙ্গল। পর পর তিন বার ব্যর্থ তারা। কেন বার বার এই পরিস্থিতি হচ্ছে সেটা খুঁজে বার করতে আত্মসমীক্ষা করেছে লাল-হলুদ। আর তাতেই খুঁজে পাওয়া গিয়েছে, মোহনবাগানের সঙ্গে দলগঠনে ২০ কোটি টাকার ফারাক রয়েছে তাদের। সেটাই পার্থক্য গড়ে দিচ্ছে। ব্যর্থতার দায় বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘ইমামি’র উপর চাপিয়েছে তারা। প্রেস বিবৃতিতে ইস্টবেঙ্গল জানিয়েছে, আইএসএলে যারা ট্রফি জেতার লড়াইয়ে থাকে তারা ৪৫ থেকে ৬০ কোটি টাকার দল তৈরি করে। কিন্তু তারা ১৮ থেকে ২০ কোটি টাকার দল তৈরি করছে। দলগঠনে এই ২০ কোটি টাকার পার্থক্যটাই চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকা দলগুলির সঙ্গে তাদের তফাত গড়ে দিচ্ছে। যারা টাকার ঝুলি নিয়ে নামছে তারাই চ্যাম্পিয়ন হচ্ছে, এমনটাই দাবি লাল-হলুদের। বাজেট কম থাকায় ফুটবলারদের মানেও পার্থক্য হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
গত বছর আইএসএলের আগে শেষ মুহূর্তে ইমামির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে ইস্টবেঙ্গলের। ফলে তারা সময় অনেক কম পেয়েছে বলে দাবি করেছেন লাল-হলুদ কর্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, ইমামির সঙ্গে সংযুক্তির পরে সময় কম থাকায় ভাল দল তৈরি করতে পারেননি তাঁরা। কিন্তু পরবর্তীতে যখন ফুটবলার নেওয়ার সুযোগ ছিল তখন তাকে কাজে লাগায়নি ইমামি। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৩ মার্চ, বৃহস্পতিবার ইমামির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তাঁরা। ইস্টবেঙ্গলের প্রধান দাবি, চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে থাকার মতো দল তৈরি করতে হবে। যদি ইমামি সেই দাবি না মেনে নেয়, তা হলে অন্য পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। বিবৃতিতে আইএসএলের নিয়মকেও কটাক্ষ করেছে ইস্টবেঙ্গল। তাদের অভিযোগ, আইপিএলের মতো ড্রাফটিং বা ক্যাপিং পদ্ধতি আইএসএলে নেই। আইপিএলের মতো ৩ বছর অন্তর নিলামও হয় না। তার ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে। সেই নিয়ম বদলেরও দাবি জানিয়েছে লাল-হলুদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy