Advertisement
৩০ এপ্রিল ২০২৪
East Bengal

৯০ মিনিটের ম্যাচে ৬০ মিনিটেই ছেলেরা ক্লান্ত! চার গোল খেয়ে বিদায়ের পর অজুহাত লাল-হলুদ কোচের

প্লে-অফে টিকে থাকতে গেলে জিততে হত শেষ ম্যাচটা। কিন্তু চার গোল খেয়ে মাথা নীচু করে আইএসএল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। ম্যাচ হেরে ক্লান্তিকে দুষলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত।

cricket

ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। ছবি: আইএসএল

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৫০
Share: Save:

প্লে-অফে টিকে থাকতে গেলে জিততে হত শেষ ম্যাচটা। প্রতিপক্ষে ছিল পঞ্জাব এফসি, যারা উঠে এসেছে আই লিগ থেকে। জেতা তো দূর, চার গোল খেয়ে মাথা নীচু করে আইএসএল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ইস্টবেঙ্গলকে। বুধবারই শেষ হয়ে গিয়েছে প্লে-অফে খেলার স্বপ্ন। ম্যাচ হেরে ক্লান্তিকে দুষলেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত। তাঁর দাবি, তৃতীয় গোলের পরেই ফুটবলারেরা ক্লান্ত হয়ে পড়েন!

ম্যাচের পর কুয়াদ্রাত বলেছেন, “শুরুটা ভালই করেছিলাম। কয়েকটা গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলাম। শুরুতেই গোল করে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। ওরা প্রথমে গোল করার পরও ছেলেদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক ছিল। সমতা ফেরাই। দ্বিতীয় গোলটা দুর্ভাগ্যজনক। ওখান থেকে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে যায়। তা-ও চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ছেলেরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। সাত দিনে তিনটে ম্যাচ খেলতে হয়েছে আমাদের।”

চার গোল হজম করলেও কুয়াদ্রাতের দাবি, ম্যাচের এক ঘণ্টা পর্যন্ত লড়াই করেছে তাঁর দল। বলেছেন, “দ্বিতীয়ার্ধে একটা ভাল সুযোগ পেয়েছিলাম, যখন আমন বক্সের মধ্যে গোল করার সুযোগ পেয়ে যায়। তখনও খেলায় ছিলাম। ৬০ মিনিট পর্যন্ত ফুটবলারদের খেলা দেখে মনে হয়নি ওরা ক্লান্ত। তবু ফেলিসিয়োকে নামাই, আরও কিছু পরিবর্তন করি। ওরা তৃতীয় গোল করার পর আমাদের আর তেমন কিছু করার ছিল না। শারীরিক ভাবে পারছিল না ছেলেরা।”

প্রশ্ন উঠছে, প্লে-অফের লড়াই থেকে আগের ম্যাচে ছিটকে যাওয়া পঞ্জাব এফসি নিজেদের সম্মানরক্ষার ম্যাচে যদি সেরাটা দিতে পারে, তা হলে প্লে-অফে ওঠার তাগিদ থাকা ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে সদিচ্ছার অভাব দেখা গেল কেন? কুয়াদ্রাত উত্তর দেননি। তবে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন। বলেছেন, “সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের জন্য আমরা দুঃখিত। তবে প্লে-অফে ওঠার জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত লড়েছি।”

কুয়াদ্রাত খুশি এই মরসুমে তাঁদের সাফল্য নিয়ে। চলতি মরসুমে ইস্টবেঙ্গল ডুরান্ড কাপে রানার্স হয়েছে। সুপার কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আইএসএলের গত তিন মরশুমের তুলনায় এ মরশুমে যেমন সবচেয়ে বেশি গোল করেছে, তেমনই সবচেয়ে কম গোল হজমও করেছে। মরসুম নিয়ে কুয়াদ্রাত বলেছেন, “গত তিন মরশুমে ক্লাবের পারফরম্যান্স যে রকম নেতিবাচক হয়েছিল তাতে পরিবর্তন আনার জন্যই আমার এখানে আসা। আমি খুশি যে অনেক পরিবর্তন এসেছে। আমাদের সবচেয়ে ভাল পারফরম্যান্স এই মরসুমেই হয়েছে। বহু দিন পর আমরা ট্রফি জয়ের জন্য লড়েছি, জিতেওছি। গত পাঁচ বছর কোনও ফাইনালে উঠতে পারিনি। এ বার উঠেছি এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। এশীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগও অর্জন করেছি।”

পরের মরসুম নিয়েও আশাবাদী ইস্টবেঙ্গলের কোচ। বলেছেন, “নতুন করে শুরু করার দিকে এগোচ্ছি। পরের মরসুমের জন্য পরিকল্পনা তৈরি শুরু করে দিয়েছি। এমন একটা দল তৈরি করতে হবে যারা আমাদের আইএসএলের প্লে-অফে পৌঁছে দিতে পারবে এবং ট্রফির লড়াইয়ে দলকে জেতাতে পারবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

East Bengal ISL 2023-24 Carles Cuadrat
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE