আইএসএলে প্রথম ছয়ের মধ্যে শেষ করার আশা প্রায় শেষ ইস্টবেঙ্গলের। শনিবার ঘরের মাঠে চেন্নাইয়িন এফসির কাছে ০-৩ গোলে হারের পর হাল ছেড়ে দিয়েছেন লাল-হলুদ কোচ অস্কার ব্রুজ়োও। ইস্টবেঙ্গল কোচের এখন লক্ষ্য, যতটা সম্ভব ভাল ফল করা।
দলের খেলায় ব্রুজ়ো হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। প্রথম একাদশ নির্বাচন আরও ভাল হতে পারত মেনে নিলেও নিজের বিরক্তি গোপন করেননি। শনিবার ম্যাচের পর ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেছেন, ‘‘আমাদের ঘুম ভেঙেছে অনেক দেরিতে। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা ভাল খেলেছি। গোলের সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর চেন্নাইয়িনের ফুটবলারেরা নিজেদের অর্ধে বল রেখে বেশি খেলছিল। আমাদের খেলার জায়গাই দিচ্ছিল না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রথমার্ধে আমরা ভাল খেলতে পারিনি, বিশেষ করে মাঠের বাঁ দিকে আমাদের বেশ দুর্বল দেখিয়েছে। সুযোগ কাজে লাগিয়েছে চেন্নাইয়িনের ফুটবলারেরা। যে ভাবে খুশি খেলেছে। আমাদের অনেকেই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি। সব মিলিয়ে এই পারফরম্যান্স অত্যন্ত হতাশার।’’
ধারাবাহিক ভাবে চোট সমস্যায় ভুগছে ইস্টবেঙ্গল। তা নিয়েও হতাশ ব্রুজ়ো। তিনি বলেছেন, “দলে অনেকগুলো পরিবর্তন করা হয়েছিল। অনেকে চোট সারিয়ে ম্যাচে ফিরল। সউল ক্রোসপোর মতো যারা চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছে, তাদের পক্ষে চেন্নাইয়িনের শারীরিক ফুটবলের বিরুদ্ধে খেলা সম্ভব ছিল না। ওদের বোধহয় এতটা সময় খেলানো উচিত হয়নি। গত ম্যাচের দলটা নামালে হয়তো ভাল হত। চোট সারিয়ে ফেরা খেলোয়াড়দের শেষ দিকে নামানো উচিত ছিল। দু’জনের লড়াইয়ে প্রতিপক্ষ আমাদের হারিয়ে দিয়েছে। সেকেন্ড বল বা দৌড়েও আমরা পিছিয়ে পড়েছি। চেন্নাইয়িন আমাদের চেয়ে গতি, শক্তি ও আগ্রাসনে এগিয়ে ছিল। প্রথমার্ধে আমরা ওদের আগ্রাসী ফুটবলের সঙ্গে পারিনি। ধারাবাহিকতার অভাব আমাদের বড় সমস্যা। অনেকের ব্যক্তিগত ভুলেরও খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের।’’ ভুলত্রুটি নিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে চান ব্রুজ়ো।
আরও পড়ুন:
আইএসএলে প্রথম ছয়ে শেষ করার আশা এক রকম ছেড়েই দিয়েছেন ব্রুজ়ো। সরাসরি না বললেও, তাঁর বক্তব্যে সেই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল কোচ বলেছেন, ‘‘এখন আমাদের এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগ নিয়ে ভাবতে হবে। এটাই আমাদের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। সুপার কাপও আছে। আইএসএলে আমাদের এখন লক্ষ্য পয়েন্ট টেবিলের মাঝামাঝি জায়গায় থেকে শেষ করা। প্রতিটি ম্যাচ ধরে এগোতে হবে। ঘরের মাঠে, আমাদের সমান পয়েন্ট পাওয়া একটা দলের কাছে হার। দলের আত্মবিশ্বাস কমতে পারে। আগামী সপ্তাহে কলকাতা ডার্বি রয়েছে। ওই ম্যাচটাই এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’’