রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে গত শনিবার আইএসএল কাপ ফাইনালে যুবভারতীতে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কেন আমন্ত্রণ পাননি ক্রীড়ামন্ত্রী, কার আমন্ত্রণ জানানো উচিত ছিল, এ সব প্রশ্নের মাঝে শেষ পর্যন্ত মাঠে যাননি মন্ত্রী। জল্পনা, বিতর্ক আরও বাড়ে। এক সপ্তাহ যেতে না যেতে কলকাতার ফুটবল ময়দানে আরও একটি পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। আই লিগ জেতা ইস্টবেঙ্গলের মহিলা দলকে শুক্রবার পুরস্কৃত করা হবে। সেখানে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব চাইছে তাদের মাঠে ক্রীড়ামন্ত্রী পুরস্কার তুলে দিন। কিন্তু আই লিগের আয়োজক সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফে এখনও এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত আসেনি।
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্তা দেবব্রত সরকার বলেছেন, ‘‘আমরা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থাকে বলেছিলাম, পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করতে। এখনও পর্যন্ত আমরা উত্তর পাইনি। মহিলাদের ফুটবলের উন্নতি বা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। আমরাও তাঁর সঙ্গে একটা স্বপ্ন দেখেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শেই আমরা মহিলাদের ফুটবল দল তৈরি করি। রাজ্য সরকার কন্যাশ্রী কাপ আয়োজন করে। আমরা যে মহিলাদের আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছি, সেটা বাংলার জয়। তাই আমরা চাইছি বাংলার হয়ে, ইস্টবেঙ্গলের হয়ে ক্রীড়ামন্ত্রী শুক্রবার ট্রফি গ্রহণ করুন। এ ব্যাপারে আমরা ফেডারেশনকে চিঠি দিচ্ছি। আমাদের কোচ, অধিনায়কের সঙ্গে ক্রীড়ামন্ত্রীও ট্রফি গ্রহণ করবেন।’’ উল্লেখ্য, মহিলাদের আই লিগ ইস্টবেঙ্গল চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেও একটি ম্যাচ বাকি রয়েছে কেরালা এফসির বিরুদ্ধে। শুক্রবার সেই ম্যাচ হবে ক্লাবের মাঠে। তার পর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
আরও পড়ুন:
এর আগে গত শনিবার আইএসএল কাপের ফাইনালের দিন ক্রীড়ামন্ত্রীকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মোহনবাগানের সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ। তিনি ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। সমাজমাধ্যমে সে দিন কুণাল লেখেন, “যুবভারতীতে আজ ফুটবলের মহাযজ্ঞ। এফএসডিএল রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে আমন্ত্রণ করেনি। এটা রাজনৈতিক কারণে, এআইএফএফের বিজেপি সভাপতি কল্যাণ চৌবের অঙ্গুলিহেলনে। বাংলার বুকে ফাইনাল, কেন ক্রীড়ামন্ত্রীকে বলা হবে না?’’ মহিলাদের আই লিগের ক্ষেত্রে যাতে তেমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তাই আগে থেকেই সক্রিয় ইস্টবেঙ্গল ক্লাব।