অপ্রতিরোধ্য: বায়ার্নের বিরুদ্ধে গোলের পরে হালান্ড। ছবি: গেটি ইমেজেস।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটি ঝড়ে বিপর্যস্ত এ বার বায়ার্ন মিউনিখও! মঙ্গলবার ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে ওঠার পথে একধাপ এগিয়ে যাওয়ার রাতেই নতুন নজির গড়লেন আর্লিং হালান্ড। এতিহাদ স্টেডিয়ামে লড়াইটা শুধু ম্যান সিটি বনাম বায়ার্নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল পেপ গুয়ার্দিওলার সঙ্গে টমাস টুহলের দ্বৈরথও।
দু’বছর আগে যখন চেলসির দায়িত্বে ছিলেন টুহল, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যান সিটিকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন। সেই যন্ত্রণা এখনও ক্ষতবিক্ষত করে পেপকে। হয়তো মঙ্গলবার রাতে ঘরের মাঠে শেষ আটের প্রথম পর্বের সাক্ষাতে মস্তিষ্কের লড়াইয়ে পেপ হারিয়ে দিলেন বায়ার্ন ম্যানেজারকে। এই কারণেই ম্যাচের পরে সাংবাদিক বৈঠকে পেপ বলেছেন, ‘‘ম্যাচটা একেবারেই সহজ ছিল না। মানসিক ভাবে আমি বিধ্বস্ত। আমার বয়স যেন দশ বছর বেড়ে গিয়েছে!’’
পুরনো দলের বিরুদ্ধে সামনে একা হালান্ডকে রেখে ঘরের মাঠে সামনে ৩-২-৪-১ ছকে দল সাজিয়ে পেপ বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, শুরু থেকেই মাঝমাঠে দখল নিতে চান। বায়ার্ন ম্যানেজারের অস্ত্র ছিল ৪-২-৩-১ ছক। রক্ষণ শক্তিশালী করে হালান্ড, জাক গ্রিলিসদের আক্রমণের ঝড় আটকানোর পরিকল্পনা ছিল তাঁর। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকেই তাঁর রণকৌশল ভেস্তে দেন হালান্ডরা।
২৭ মিনিটে বের্নার্দো সিলভার পাস থেকে বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো জোরালো শটে ১-০ করেন রদ্রি। ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন বায়ার্নের ফুটবলাররা। লেরয় সানের শট বাঁচান ম্যান সিটির গোলরক্ষক এদেরসন। ৭০ মিনিটে বের্নার্দো ২-০ করেন। নেপথ্যে হালান্ড। ছয় মিনিটের মধ্যে নরওয়ে স্ট্রাইকার জন স্টোনস হেড থেকে পাওয়া বল গোলে ঠেলে দেন তিনি। চলতি মরসুমে ৪৫তম গোল করে নতুন নজির গড়লেন নরওয়ের নতুন তারা। টপকে গেলেন রুদ ফান নিস্তেলরুই ও মহম্মদ সালাহকে। ২০০২-’০৩ মরসুমে ম্যান ইউয়ের হয়ে ডাচ তারকা সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে করেছিলেন ৪৪টি গোল। ২০১৭-’১৮ মরসুমে মহম্মদ সালাহ তাঁর নজির স্পর্শ করেছিলেন। নিজের ৩৯তম ম্যাচে তাঁদের ছাপিয়ে গেলেন হালান্ড।
রিয়ালের শাসন: চ্যাম্পিয়ন্স লিগে বুধবার রিয়াল মাদ্রিদ ঘরের মাঠে ২-০ গোলে হারাল চেলসিকে। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম পর্বের এই ম্যাচে রিয়ালকে ২১ মিনিটে এগিয়ে দেন করিম বেঞ্জেমা। চেলসির সমস্যা আরও বেড়ে যায় ৫৯ মিনিটে বেন চিলওয়েললাল কার্ড দেখায়। ৭৪ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন মার্কো আসেনসিয়ো। এ দিনের অপর ম্যাচে ঘরের মাঠে এসি মিলান ১-০ গোলে হারিয়েছে নাপোলিকে। ৪০ মিনিটে এসি মিলানের একমাত্র গোলটি করেনইসমাইল বেনাসের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy