পুরস্কার নিতে গিয়ে মঞ্চেই ‘অশ্লীল’ আচরণ করেন মার্তিনেস। ছবি: পিটিআই
কাতার বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হয়েও বিতর্কে জড়িয়ে গিয়েছে এমিলিয়ানো মার্তিনেসের নাম। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এই বিশ্বকাপে সোনার গ্লাভস জিতেছেন। কিন্তু সেই পুরস্কার নিতে গিয়ে মঞ্চেই ‘অশ্লীল’ আচরণ করেন মার্তিনেস। আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক যদিও সেই আচরণকে অশ্লীল মনে করছেন না।
হাতে সোনার গ্লাভস নিয়ে তা নিজের যৌনাঙ্গের সামনে ধরেন মার্তিনেস। সেই ভঙ্গির কারণ হিসাবে এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্তিনেস বলেন, “ফরাসি ফুটবলাররা আমাকে কটূক্তি করছিল। সেই কারণেই ওদের জবাব দিয়েছিলাম। আমি ভাবমূর্তি নিয়ে ভাবি না।” মার্তিনেসের আচরণ তাঁকে কোনও শাস্তির মুখে ফেলবে কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।
রবিবার কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারায় আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত সময় এবং অতিরিক্ত সময়ে সমান সমান ছিল দুই দলের গোল ব্যবধান। পেনাল্টিতে গিয়ে মেসিরা জিতে যান। মার্তিনেস বলেন, “আমরা অনেক কষ্ট করেছি। ফাইনালে শুরুর দিকে ভেবেছিলাম যে, ম্যাচ আমাদের হাতে। পরে ফ্রান্স ম্যাচে ফেরে। খুব জটিল হয়ে যায় খেলাটা। শেষ মুহূর্তে ওরা একটা সুযোগ পেয়েছিল। আমার ভাগ্য ভাল যে গোলটা আটকে দিতে পেরেছিলাম। পা দিয়ে আটকে দিয়েছিলাম বলটা।”
আপাত ভাবে পুরস্কার প্রাপ্তির উচ্ছ্বাস প্রকাশ মনে হলেও, তাঁর সেই ভঙ্গি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সমাজমাধ্যমে অনেকেই বিশ্বজয়ী গোলরক্ষকের আচরণের সমালোচনা করেছেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে কাকে বা কাদের উদ্দেশ্য করে তিনি কেন এমন করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুধু ফাইনালের পর পুরস্কার নেওয়ার সময় নয়, বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের পরেও বিতর্কে তৈরি হয়েছিল মার্তিনেসের আচরণ ঘিরে। ম্যাচের পর নেদারল্যান্ডস কোচ লুই ফান হালের সামনে গিয়ে খারাপ অঙ্গভঙ্গি করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। বিতর্ক তৈরি হলেও আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জেতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে তাঁর।
বিশ্বকাপ জিতে ছোটবেলার কথা মনে পড়ছে মার্তিনেসের। তিনি বলেন, “ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখেছি বিশ্বকাপ জেতার। এই আনন্দ প্রকাশ করার কোনও ভাষা নেই। খুব ছোটবেলায় ইংল্যান্ড চলে গিয়েছিলাম। এই জয় পরিবারকে উৎসর্গ করতে চাই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy