২০২৬ সালের বিশ্বকাপ থেকে বাড়বে দেশের সংখ্যা। পরের বার যে ৪৮ দলের খেলা হবে, তা এক প্রকার নিশ্চিত। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে খেলার ফরম্যাট তৈরি করতে গিয়ে। প্রাথমিক ভাবে ফিফা যে চিন্তা করছে তাতে গড়াপেটার আশঙ্কা রয়েছে। তাই এখনও পর্যন্ত কোনও ফরম্যাট ঠিক করে উঠতে পারেনি ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা।
পরের বার ৩২ দলের পাশাপাশি আরও ১৬টি দলকে নিয়ে মোট ৪৮ দলের বিশ্বকাপ হতে চলেছে। ঠিক করা হয়েছিল, তিনটি দলকে নিয়ে ১৬টি গ্রুপ তৈরি করা হবে। প্রতি গ্রুপ থেকে দু’টি করে দল নকআউটের যোগ্যতা অর্জন করবে। তবে এ বারের বিশ্বকাপে একের পর এক অঘটন দেখে সেই প্রস্তাব নিয়ে আপাতত বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, সে ক্ষেত্রে ভাল খেলেও একটি দল ছিটকে যেতে পারে।
শুধু তাই নয়, নকআউটে ওঠার জন্য ব্যাপক গড়াপেটাও হতে পারে। ১৯৮৬ সাল থেকে চলে আসা নিয়ম অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বের শেষ রাউন্ডে চারটি দল একই সময়ে ম্যাচ খেলতে নামে। এতে কোনও দলই বাড়তি সুবিধা পায় না। কিন্তু গ্রুপে তিনটি দল থাকলে শেষ রাউন্ডে সব দল একই সময়ে ম্যাচ খেলতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে শেষ রাউন্ডের ম্যাচে অংশগ্রহণকারী দু’টি দল পরের রাউন্ডে যাওয়ার জন্য নিজেদের সুবিধা মতো খেলতে পারে। ফলে গড়াপেটার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাবে না। সেটা যাতে না হয় তার জন্য অন্য রকম চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ফিফা।
আরও পড়ুন:
এই বিষয়ে আর্সেনালের প্রাক্তন কোচ তথা ফিফার গ্লোবাল ফুটবলের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘‘এখনও ঠিক হয়নি কোন ফরম্যাটে খেলা হবে। তিন দলের ১৬টি গ্রুপ বা চার দলের ১২টি গ্রুপ হতে পারে। অথবা চার দলের ১২টি গ্রুপ করে দু’টি অর্ধে ভাগ করে দেওয়া হতে পারে। এক একটা অর্ধে ছ’টা করে দল থাকবে। দুই অর্ধের জয়ী দল ফাইনালে খেলবে। অবশ্য সেটা আমি ঠিক করতে পারি না। ফিফা কাউন্সিল ঠিক করবে। আশা করি পরের বছরই জানিয়ে দেওয়া হবে।”
২০২৬ সালে ৪৮ দলের খেলা হলে এবং ১৬টি গ্রুপে ভাগ করে খেলা হলে মোট ৮০টি ম্যাচ হবে। তাতে বিশ্বকাপ শেষ হতে ৩২ দিন সময় লাগবে। যদি চার দলের গ্রুপ করা হয় তা হলে মোট ১০৪টি খেলা হবে। সে ক্ষেত্রে খেলা শেষ হতে আরও সময় লাগবে। কী ভাবে বিশ্বকাপ আয়োজন করা যাবে তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে ফিফার অন্দরে।
তবে বেশি ম্যাচ হলে ফিফার আয়ও বাড়তে পারে। ফিফার আয়ের প্রায় ৯০ শতাংশ আসে বিশ্বকাপ থেকে। কাতার বিশ্বকাপ থেকে এখনও পর্যন্ত সব থেকে বেশি আয় করেছে ফিফা। আগামী বার থেকে তা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছে ফিফা। কিন্তু তার মধ্যেই গড়াপেটার আশঙ্কা অন্য সমস্যায় ফেলেছে ফিফাকে।