অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গোল করে এ ভাবেই উল্লাস করতে দেখা গেল কিলিয়ান এমবাপেকে। ছবি: রয়টার্স
চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে তিনি ছিলেন ১৯ বছরের কিশোর। তারুণ্যের ঝড় তুলেছিলেন। একের পর এক ম্যাচে তাঁর গোল ফ্রান্সকে বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছিল। কিন্তু চার বছর পরে কাতার বিশ্বকাপে নামার সময় কিলিয়ান এমবাপে এক জন তারকা। ঘাড়ে অনেক দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব ভাল ভাবে পালন করলেন এমবাপে। অনেক বেশি পরিণত দেখাল তাঁকে।
এমবাপের প্রধান অস্ত্র গতি। সেই গতি বার বার দেখা গেল অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। বল পেলেই বাঁ প্রান্ত ধরে উঠছিলেন এমবাপে। কিন্তু আগের মতো বল পেলেই সরাসরি গোলের দিকে এগিয়ে যাওয়া নয়, বল পেলে তিনি দেখছিলেন পাশে কোনও সতীর্থ রয়েছেন কিনা। সতীর্থ ভাল জায়গায় থাকলে পাস দিতে দু’বার ভাবছিলেন না। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বক্সের ভিতরে বল পেয়ে যে ভাবে একাধিক বার আঁতোয়া গ্রিজম্যানের দিকে ব্যাকহিল করলেন এমবাপে, তা চার বছর আগে তিনি করতেন কি না সন্দেহ।
প্রথমার্ধে গোল পাননি এমবাপে। কিন্তু গোল করার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন বার বার। এক বার গোলের সামনে থেকে উড়িয়ে গিয়েছেন। এক বার গ্রিজম্যানের ক্রস সাইড ভলি করতে গিয়ে বাইরে মেরেছেন। কিন্তু হতাশ হননি। বার বার আক্রমণে উঠেছেন। তার ফলও পেয়েছেন। ৬৮ মিনিটের মাথায় দেম্বেলের ক্রস থেকে হেডে গোল করেছেন এমবাপে।
সেখানেই থেমে থাকেননি এমবাপে। তিন মিনিট পরে গোল করিয়েছেন। বাঁ প্রান্তে বল পেয়ে অস্ট্রেলিয়ার ফুটবলারদের গতিতে পরাস্ত করে বক্সে ঢুকেছেন। গোলের সামনে থাকা অলিভিয়ের জিহুর উদ্দেশে বল বাড়িয়েছেন। হেডে গোল করেছেন জিহু। গোল করিয়েও সমান আনন্দ করতে দেখা গিয়েছে এমবাপেকে।
দলের প্রতি দায়বদ্ধতা ফুটে উঠেছে এমবাপের খেলায়। তাই তো গোলের সুযোগ নষ্ট করে হতাশ হয়েছেন। আবার প্রয়োজনে দলকে চাগিয়েছেন। সমর্থকদের উজ্জীবিত করেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, এ বারের বিশ্বকাপে বিস্ময় নয়, নেতা হতে এসেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy