বিশ্বকাপ দেখতে কলকাতা থেকে কয়েক হাজার ফুটবলপ্রেমী গিয়েছেন কাতারে। ছবি: টুইটার।
বাঙালির প্রিয় খেলা ফুটবল। ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান ম্যাচ মানেই আম বাঙালি দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়েও বাঙালির উন্মাদনা কম নয়। তাতেও রয়েছে ভাগাভাগি। সিংহ ভাগ বাঙালিই ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনার সমর্থক। দল নিয়ে দলাদলিও কম হয় না বিশ্বকাপের এক মাস। সেই বিশ্বকাপের টানেই কলকাতা থেকে কাতার গিয়েছেন নয় হাজার ফুটবলপ্রেমী।
ব্রাজিল কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়ায় বাঙালির বিশ্বকাপ উন্মাদনায় কিছুটা ভাটা পড়লেও শেষ হয়নি। এখনও খেতাবের লড়াইয়ে রয়েছে লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনা। অর্থাৎ বাঙালির বিশ্বকাপের অর্ধেক গ্লাস এখনও জল ভর্তি। বাঙালি এখন শুধু ঘরে বসেই বিশ্বকাপ দেখে না। টিভিতে খেলা দেখতেই বেশি ভাল লাগে, এই ধারনার বাইরে পা ফেলছেন বাংলার ফুটবলপ্রেমীরা। কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে যাওয়া কলকাতাবাসীর সংখ্যাই এর সব থেকে বড় প্রমাণ।
কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে কলকাতা থেকে গিয়েছেন প্রায় ন’হাজার ফুটবলপ্রেমী। দু’টি সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল দেখতে আরও বেশ কিছু ফুটবলপ্রেমী যাবেন কাতারে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানাচ্ছে, কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের অনেকে এখনও টিকিটের খোঁজ করছেন। ট্রাভেল এজেন্টস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার কর্তা অনিল পঞ্জাবি জানিয়েছেন, ‘‘পূর্ব ভারত থেকে প্রায় ১২ হাজার ফুটবলপ্রেমী কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ন’হাজার জনই কলকাতা বা কলকাতার কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দা। সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল দেখতে আরও অন্তত ১৫০০ জন যাবেন কলকাতা থেকে।’’ ব্রাজিল এবং পর্তুগাল শেষ চারে পৌঁছালে দোহার বিমানের টিকিটের চাহিদা আরও বাড়ত বলে দাবি তাঁর।
পঞ্জাবি আরও বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ নিয়ে কলকাতাবাসীর এমন উন্মাদনা আগে কখনও দেখা যায়নি। এর প্রধান কারণ হল কলকাতার সঙ্গে দোহার সরাসরি বিমান যোগাযোগ এবং কোভিডের পর দেশের কাছে এত বড় একটা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা দেখার সুযোগ। বিশ্বকাপের আগে বেড়াতে যাওয়ার জায়গা হিসাবে কাতার এতটা জনপ্রিয় ছিল না। বিশ্বকাপ হঠাৎই কাতারের জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে।’’
বিশ্বকাপ শুরুর আগে ফিফা জানিয়েছিল, বিশ্বকাপে খেলছে না এমন দেশগুলির মধ্যে টিকিটের চাহিদার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কেরল থেকেও বহু মানুষ এ বার কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে গিয়েছেন। প্রায় ৪০ হাজার ভারতীয় বিশ্বকাপের টিকিট আগাম কিনে রেখেছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy