প্রত্যাশা অনুযায়ী দর্শক খেলা দেখতে আসেননি বিশ্বকাপে। ছবি: রয়টার্স
কাতার বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার আগে থেকে এবং প্রতিযোগিতা চলাকালীন অনেক বিতর্কই দেখা গিয়েছে। কখনও বলা হচ্ছে সমকামী প্রেম প্রকাশ্যে দেখানো চলবে না, কখনও প্রতিযোগিতা শুরুর দু’দিন আগে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে স্টেডিয়ামে বিয়ার বিক্রি। এ সবেরই প্রভাব পড়ল দর্শকসংখ্যায়। যে পরিমাণ দর্শক কাতারে বিশ্বকাপ দেখতে আসবেন বলে মনে করা হয়েছিল, আসলে এসেছেন তার থেকে অনেক কম লোক।
আরবের প্রথম দেশ হিসাবে এ বার বিশ্বকাপ আয়োজন করছে কাতার। আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার দর্শক খেলা দেখতে এসেছেন কাতারে। আশা করা হয়েছিল প্রায় ১২ লক্ষ দর্শক আসবেন। বিশ্বকাপে মাত্র ১০ দিন বাকি। দলের সংখ্যাও অনেক কমে এসেছে। শনিবারের পর পড়ে থাকবে আর মাত্র চারটি দল। ফলে মনে করা হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারবে না দর্শকদের সংখ্যা।
বিশ্বকাপ যারা পরিচালনা করছে, সেই সুপ্রিম কমিটির দেওয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪ থেকে ২৮ নভেম্বরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর্শক আসার প্রত্যাশা করা হয়েছিল। সেটা হয়নি। পাশাপাশি জার্মানি, বেলজিয়ামের মতো বড় দলগুলি আগেই বিদায় নেওয়ায় পরের দিকে যাঁরা আসবেন ভেবেছিলেন, তাঁরাও আসছেন না। রিপোর্ট বলছে, আটটি স্টেডিয়াম মিলিয়ে বিশ্বকাপে মোট টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩০ লক্ষ ৯ হাজার। প্রথম ৫২টি ম্যাচে মাঠে মোট দর্শকসংখ্যা ২৬ লক্ষ ৫০ হাজার।
এত কিছু সত্ত্বেও ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনোর দাবি, এটাই সর্বশ্রেষ্ঠ বিশ্বকাপ। দু’দিন আগে তিনি বলেছেন, “দারুণ পরিবেশ, দারুণ গোল হয়েছে। মানুষের উত্তেজনা অন্য পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। ছোট দলগুলি বড় দলকে হারাচ্ছে। এখন আর ছোট কোনও দল নেই। সবাই সমান হয়ে গিয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy