ম্যাচ শেষে রেফারির কাছে অভিযোগ জানান উরুগুয়ের ফুটবলাররা। রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ তাঁরা। ছবি: রয়টার্স
ঘানার বিরুদ্ধে জিতেও বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা হয়নি উরুগুয়ের। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে যত রাগ গিয়ে পড়ল ভারের মনিটরের (ভার প্রযুক্তি ব্যবহারের পরে যে মনিটরে দেখে সিদ্ধান্ত নেন রেফারি) উপর। ঘুষি মেরে সেই মনিটর ভেঙে ফেললেন উরুগুয়ের ফুটবলার এডিনসন কাভানি।
ম্যাচের শেষ মুহূর্তে বক্সের মধ্যে এডিনসন কাভানিকে ফাউল করা হয়েছে, এই অভিযোগে পেনাল্টির আবেদন করছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা। ভারের আবেদন করতে থাকেন তাঁরা। কিন্তু তাতে আমল দেননি রেফারি। আর একটি গোল দিলেই বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিত উরুগুয়ে। সেটা হয়নি। ম্যাচ হারতেই রেফারিকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কাভানিরা। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয় যে রেফারিকে পাহারা দিয়ে মাঠ থেকে বার করে নিয়ে যেতে হয়।
তার পরেই টানেল দিয়ে বার হওয়ার সময় ভারের মনিটরে ঘুষি মারেন কাভানি। মনিটর ভেঙে মাটিতে পড়ে যায়। কাভানির সামনে উরুগুয়ের যে ফুটবলাররা ছিলেন তাঁরা পিছন ফিরে এই ঘটনা দেখেন। বিশ্বকাপের মঞ্চে এই আচরণের ফলে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে কাভানিকে। তবে এখনও ফিফা বা কাতার বিশ্বকাপের আয়োজকরা কিছু জানায়নি। এর আগে খেলা হেরে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার পরে রাগে ডাগআউটের কাচ ঘুষি মেরে ভেঙে দেন বেলজিয়ামের ফুটবলার রোমেলু লুকাকু।
উরুগুয়ে-ঘানা ম্যাচে রেফারি ছিলেন জার্মানির ড্যানিয়েল সিবার্ট। শেষ কয়েক মিনিট বার বার তাঁর উপর চাপ দিচ্ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলাররা। কিন্তু তাতে কার্যসিদ্ধি হয়নি। ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে সিবার্টকে ঘিরে ধরেন কাভানিরা। মাঠ ছেড়ে তখন টানেলের দিকে এগোচ্ছিলেন সিবার্ট। কিন্তু উরুগুয়ের ফুটবলাররা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে রেফারিকে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেন সেখানে উপস্থিত নিরাপত্তারক্ষীরা। বাকি সময়টা সিবার্টকে ঘিরে ছিলেন তাঁরা। সাজঘর পর্যন্ত সে ভাবেই রেফারিকে নিয়ে যান নিরাপত্তারক্ষীরা। এ ভাবে রেফারির দিকে তেড়ে যাওয়ায় উরুগুয়ের ফুটবলারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy