মেসির কোচের গ্রামে কেন উচ্ছ্বাস হবে না? ফাইল ছবি
প্রথম বার বিশ্বকাপে কোচিং করিয়েই আর্জেন্টিনা দলকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছেন লিয়োনেল স্কালোনি। লিয়োনেল মেসি-সহ গোটা দলের সঙ্গেই দুর্দান্ত সম্পর্ক রয়েছে তাঁর। কোপা আমেরিকার পর বিশ্বকাপ জয়েরও স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। তবে আর্জেন্টিনা যদি বিশ্বকাপ জেতে, তা হলে গোটা দেশ উচ্ছ্বাসে মাতলেও স্কালোনির গ্রাম সেই উচ্ছ্বাসে শামিল হবে না।
সান্তা ফে প্রদেশের পুজাতো গ্রাম থেকে উঠে এসেছেন স্কালোনি। ৩৭০০ লোক থাকেন সেখানে। সম্প্রতি সেই গ্রামের অধিবাসী অগাস্তিন ফ্রাতিনি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। ফলে গোটা গ্রামেই শোকের ছায়া। সে কারণেই গোটা গ্রাম ফুটবলের মহাযজ্ঞে দেশ সেরা হলেও সেই উৎসবে শামিল না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
সেই গ্রামের পুরসভার প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল কুয়াকুয়ারিনি বলেছেন, “বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলেও আমরা কোনও উচ্ছ্বাস করব না। পরে সে সব দেখা যাবে। এখন কোনও কিছুর সময় নেই। লিয়োনেলের কৃতিত্বকে যোগ্য সম্মান দেওয়ার অনেক সময় থাকবে আমাদের কাছে। সেটা ওর প্রাপ্যও। কিন্তু এখন আমরা চ্যাম্পিয়ন হলেও শ্রদ্ধা জানানোর কারণে শান্ত থাকব।”
অগাস্তিনের কথা উঠে এসেছে স্কালোনির মুখেও। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, “পুজাতোর প্রত্যেক অধিবাসীকে জড়িয়ে ধরতে চাই। খুব দুঃখের মধ্যে রয়েছে ওরা। গ্রামের একটি ছেলে মারা গিয়েছে। গোটা ফ্রাতিনি পরিবারকে আমার তরফ থেকে শ্রদ্ধা এবং সমবেদনা।”
ফ্রাতিনি পেশার ইলেক্ট্রোমেকানিক্যাল টেকনিশিয়ান ছিলেন। গ্রামে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন। থাকতেন মা নাতালিয়া এবং ঠাকুমা ভিলমার সঙ্গে। গোটা গ্রামে ব্যাপক জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। মাছ ধরতে এবং গাড়ির দৌড় ভালবাসতেন। স্থানীয় সংবাদপত্র লিখেছে, বাসে বহু বছর ধরে হাজার হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে শিক্ষকতা করেছেন নাতালিয়া। স্রেফ নিজের ছেলেকে মানুষ করার জন্য। তেমনই ঠাকুমা ভিলমা বানিয়ে দিতেন মুখরোচক খাবার। পুজাতো থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে গাড়ি চালানোর সময় একটি গাছে ধাক্কা মারেন অগাস্তিন। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy