দেশের থেকে কি ক্লাবকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ফিফা? বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থার কাজ দেখে তেমনটাই মনে হচ্ছে। আগামী বছর আমেরিকা, কানাডা ও মেক্সিকোতে হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। সেই প্রতিযোগিতার পুরস্কারমূল্য বাড়িয়েছে ফিফা। তার পরেও তা ক্লাব বিশ্বকাপের থেকে কম।
ফিফা জানিয়েছে, আগামী বছর যে দল বিশ্বকাপ জিতবে তারা পাবে ভারতীয় মুদ্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। ২০২২ সালে কাতারে বিশ্বকাপ জিতে লিয়োনেল মেসির আর্জেন্টিনা পেয়েছিল ৩৭৯ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে রাশিয়ায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স পেয়েছিল ৩৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ, প্রতি বার টাকার পরিমাণ বাড়ছে।
আগামী বছর, ফুটবল বিশ্বকাপে পুরস্কারমূল্য হিসাবে ৫৯১৩ কোটি টাকা খরচ করবে ফিফা। পাশাপাশি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ৪৮ দেশকে দেওয়া হবে ৬৫০ কোটি টাকা। এই টাকা সব দেশের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। অর্থাৎ, বিশ্বকাপের মোট পুরস্কারমূল্য ৬৫৬৩ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:
২০২৬ সালে বিশ্বকাপের রানার্সেরা পাবে ২৯৭ কোটি টাকা। যে দল তৃতীয় স্থানে শেষ করবে তারা পাবে ২৬১ কোটি টাকা। চতুর্থ স্থানে শেষ করা দল পাবে ২৪৩ কোটি টাকা। ৩৩ থেকে ৪৮তম স্থানে যারা থাকবে তারা ৮১ কোটি টাকা করে পাবে। পাশাপাশি অংশ নেওয়ার জন্য ১৩ কোটি টাকা করে পাবে সকলে। অর্থাৎ, বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া কোনও দেশ ন্যূনতম ৯৪ কোটি টাকা পুরস্কারমূল্য নিয়ে ফিরবে।
তার পরেও তা ক্লাব বিশ্বকাপের থেকে কম। এই বছরের শুরুতে ক্লাব বিশ্বকাপ হয়েছিল। ফ্রান্সে দল প্যারিস সঁ জরমঁ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে তারা পেয়েছে ১১২৮ কোটি টাকা। অর্থাৎ, বিশ্বকাপজয়ী দলের থেকে আড়াই গুণ বেশি। ক্লাব বিশ্বকাপে মোট পুরস্কারমূল্য ছিল ৯০২৭ কোটি টাকা। বিশ্বকাপের থেকে ২৪৬৪ কোটি টাকা বেশি। তাই বার বার একই প্রশ্ন উঠছে। ক্লাবকে কি দেশের থেকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন ফিফা?