E-Paper

তুরস্কের বিধ্বস্তদের আশ্রয় দিলেন সাকা

দেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেও উচ্ছ্বসিত সাকা। বলছিলেন, ‘‘দেশের হয়ে গোল করতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু দেশের জার্সিতে হ্যাটট্রিক করার বিষয়ে কখনও চিন্তা করিনি।”

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০২৩ ০৮:২১
An image of Saka

উচ্ছ্বসিত: দেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিকের পরে সাকা।  ছবি: রয়টার্স।

তুরস্ক ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত ২৬টি পরিবারকে নতুন আশ্রয় দিলেন বুকায়ো সাকা। সোমবার উত্তর ম্যাসিডোনিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড ৭-০ জেতার পরে এই বিষয়ে ঘোষণা করেন সাকা। তিনি দেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেন এ দিনই। দু’টি গোল করেন অধিনায়ক হ্যারি কেন। একটি করে গোল করেন মার্কাস র‌্যাশফোর্ড ও ক্যালভিন ফিলিপ্স।

একটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সাকা দাঁড়িয়েছেন ২৬টি পরিবারের পাশে। তিনি বলেছেন, ‘‘সমাজমাধ্যম ও টিভিতে তুরস্কের এই ঘটনা আমি জানতে পারি। তার পরেই ঠিক করেছিলাম, ওদের জন্য কিছু করব।’’ যোগ করেন, ‘‘এক বেসরকারি সংস্থার সাহায্য পেয়েছি। তাদের সঙ্গেই ২৬টি পরিবারকে যতটা সম্ভব আশ্রয় দেওয়ার চেষ্টা করেছি।’’

দেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেও উচ্ছ্বসিত সাকা। বলছিলেন, ‘‘দেশের হয়ে গোল করতে কার না ভাল লাগে। কিন্তু দেশের জার্সিতে হ্যাটট্রিক করার বিষয়ে কখনও চিন্তা করিনি। চেষ্টা করেছি ভাল ফুটবল উপহার দিতে। সেটা পেরেছি। আশা করি, এ ভাবেই দেশের হয়ে খেলে যেতে পারব।’’ ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেটও মুগ্ধ সাকার পারফরম্যান্সে। তিনি বলেছেন, ‘‘সাকার হ্যাটট্রিকের পরে ওর মুখে যে উচ্ছ্বাস দেখতে পেয়েছি, সেটাই বলে দেয়, এই প্রাপ্তি ওর কাছে কত বড়।’’ যোগ করেন, ‘‘শুধুমাত্র ম্যাচে নয়, প্রস্তুতিতেও একই ভাবে গোল করছিল ও। সাকাকে এখন আর অনভিজ্ঞ ফুটবলার বলা যায় না। এখন ও অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হয়ে উঠেছে দলের। সাকা আমাকে সত্যিই অত্যন্ত গর্বিত করেছে।’’

এ দিকে, আইসল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তিনি জানিয়েছেন, দেশের হয়ে খেলতে কখনও ক্লান্ত হন না তিনি। রোনাল্ডোর কথায়, ‘‘পর্তুগালের হয়ে খেলা সত্যি গর্বের। প্রত্যেকটি ম্যাচ আমার কাছে স্বপ্নের সমান। দেশের হয়ে খেলব বলেই এত পরিশ্রম করি। কখনও ক্লান্ত লাগে না।’’

এ দিকে গ্রিসের বিরুদ্ধে পেনাল্টি থেকে গোল করে ফ্রান্সকে জিতিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপে। ইউরো যোগ্যতা অর্জন পর্বে তাঁর দলকে আরও এক ধাপ এগিয়ে দিলেন ফরাসি তারকা। ম্যাচ শেষে তাঁকে প্রশ্ন করা হয় বালঁ দ্যর নিয়ে। এমবাপে জানিয়ে দেন, তিনি মনে করেন, যোগ্য হিসেবেই এই পুরস্কার পেয়েছেন।

ক্লাব স্তরে টানা দু’টি মরসুম চ্যাম্পিয়ন করেছেন প্যারিস সঁ জরমঁ-কে। সেই সঙ্গে একটি বিশ্বকাপে ফ্রান্সকে চ্যাম্পিয়ন হতে সাহায্য করেছেন, শেষ বিশ্বকাপে ফাইনালে তুলেছেন দলকে। ফাইনালে পরপর দু’টি গোল করে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে সমতা ফিরিয়ে এনেছিলেন দলের। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তবুও আর্লিং হালান্ডের সঙ্গে একই মরসুমে ৫৪টি গোলের কীর্তি গড়েন এমবাপে।

ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘‘ব্যক্তিগত ট্রফি নিয়ে আলোচনা করতে ভাল লাগে না। সাধারণ মানুষ এটা ভাল ভাবে নেন না। তবে বালঁ দ্যর জেতার যোগ্যতা কী? নিশ্চয়ই গোল করা এবং দলকে জেতানো। তা হলে আমি হয়তো যোগ্যতা অর্জন করেছি। তাই এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Bukayo Saka footballer Turkey Earthquake in Turkey and Syria shelter home

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy