মোহনবাগান তাঁবুতে গাওস্কর। সঙ্গে রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস এবং মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত। ছবি: পিটিআই
নববর্ষের সকাল থেকে প্রবল তাপপ্রবাহ। গনগনের রোদের তেজ নিজের শক্তি বোঝাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। কিন্তু তাঁকে আটকায় কে? এই বাহাত্তরেও তিনি টাটকা জওয়ানের মতোই। নির্ধারিত সময়ের ১৫ মিনিট আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন মোহনবাগান তাঁবুতে। তাঁর হাতেই উদ্বোধন হল চুনী গোস্বামীর নামাঙ্কিত প্রবেশদ্বারের। তার পর বিভিন্ন কথায় স্মৃতিচারণ করলেন সুনীল গাওস্কর।
সকাল থেকেই মোহনবাগান তাঁবুতে শোনা যাচ্ছিল সানাইয়ের সুর। প্রবেশদ্বার উদ্বোধন নিয়ে ছিল চূড়ান্ত তৎপরতা। আগের দিনই ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা বনাম হায়দরাবাদ ম্যাচে সঞ্চালনা এবং ধারাভাষ্যের কাজে ব্যস্ত ছিলেন গাওস্কর। হোটেলে ফিরতে ফিরতে অনেক রাত হয়ে যায়। তার পরেও সকালে মোহনবাগান তাঁবুতে এসে চোখেমুখে ছিল না ক্লান্তির ছাপ। এখনও তিনি সতেজ।
ফুটবলার চুনী গোস্বামীর থেকে ক্রিকেটার চুনী গোস্বামীকে বেশি চিনতেন গাওস্কর। তাই তাঁর স্মৃতিচারণে ক্রিকেটের কথাই। গাওস্কর জানালেন কী ভাবে এক বার চুনীর মুখের গ্রাস থেকে শতরান কেড়ে নিয়েছিলেন তিনি। অবৈধ ভাবে একটি ক্যাচ নিয়েছিলেন। কিন্তু স্বীকার করতে চাননি। আম্পায়ারও আউট দিয়ে দিয়েছিলেন চুনীকে। বাংলার ক্রিকেটার আউট হয়ে গিয়েছিলেন ৯৬ রানে। সেই কাজের জন্য এখনও অনুতাপ রয়েছে গাওস্করের।
মোহনবাগান ক্লাবের সামনে গেলে এখনও চেনাই যাবে না। আগের গেট পুরোপুরি বদলে ফেলা হয়েছে। নতুন গেটের উপরেই জ্বলজ্বল করছে পালতোলা নৌকো। সেখানে চুনীর নাম লেখা। পুরো গেটেই নানান ধরনের কারুকার্য রয়েছে। উদ্বোধনের সময় গাওস্কর ডেকে নিয়েছিলেন চুনীর স্ত্রী বাসন্তী গোস্বামীকেও। পরে গাওস্করের হাতে তুলে দেওয়া হয় রসগোল্লা এবং তাঁর প্রিয় মিষ্টি দইয়ের হাড়ি।
গাওস্কর ছাড়াও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, বাবুল সুপ্রিয়কে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। সংবর্ধিত হন প্রাক্তন ফুটবলার সুশীল সিংহ, বলাই দে, বিক্রমজিৎ দেবনাথ, জেভিয়ার পায়াস এবং দীপেন্দু বিশ্বাসও। এআইএফএফের সভাপতি কল্যাণ চৌবে হাজির ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy