ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য পরিবারের কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেন আতসু। ছবি: টুইটার।
তুরস্কের ভয়াবহ ভূমিকম্পের ১১ দিন পর গত শুক্রবার উদ্ধার হয়েছে চেলসি এবং নিউক্যাসেল ইউনাইটেডের প্রাক্তন ফুটবলার ক্রিস্টিয়ান আতসুর মৃতদেহ। একটি সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্যই অকালে মৃত্যু হল ৩১ বছরের ফুটবলারের। না হলে প্রকৃতির ধ্বংসলীলা থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে পারতেন তিনি।
কয়েক দিনের জন্য ফ্রান্সে পরিবারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল ঘানার ফুটবলারের। শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত বদল করেন আতসু। বিমানের টিকিট বাতিল করে থেকে যান তুরস্কে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতের প্যারিসগামী বিমানের টিকিট ছিল আতসুর কাছে। সেই টিকিট বাতিল করে দেন শেষ মুহূর্তে। পরের দিনই অর্থাৎ ৬ ফেব্রুয়ারি রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয় দক্ষিণ তুরস্ক এবং উত্তর সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। কম্পনের তীব্রতায় ভেঙে পড়েছিল দক্ষিণ তুরস্কের হাতায় প্রদেশের একটি ১২ তলা আবাসন। তুরস্কের সুপার লিগের ক্লাব হাতায়স্পরে খেলার সুবাদে সেই আবাসনের নবম তলের একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন আতসু। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর গত শুক্রবার তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন তাঁর এজেন্ট মুরাত উজ়ুনমেহমেত। দুই সন্তানকে নিয়ে আতসুর স্ত্রী ফ্রান্সে থাকেন। খেলার জন্য তুরস্কে একাই থাকতেন আতসু।
কেন পরিবারের কাছে যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করেছিলেন আতসু? হাতায়স্পরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘‘আগের ম্যাচেই শেষ মুহূর্তে গোল করে দলের হার বাঁচিয়েছিল আতসু। ভাল ছন্দে ছিল। পরের ম্যাচেও খেলতে চেয়েছিল ক্লাবের হয়ে। তাই প্রথমে পরিবারের কাছে যাওয়ার কথা ভাবলেও পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছিল। গোল পাওয়ায় সে দিন ও খুব খুশি ছিল। রাত ১১টায় বিমান ছিল আতসুর। সেই টিকিট বাতিল করে। আর ভোর চারটের সময় প্রবল ভূমিকম্প হয়েছে। আতসুর এই পরিণতি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’’
কঠিন সময়ে ক্লাব আতসুর পরিবারের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছে তুরস্কের ক্লাবটি। আতসুর দেহ ফ্রান্সে পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সময় পরিবারের সদস্যদের বিরক্ত না করার আবেদন জানিয়েছেন ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy