সমাজমাধ্যমে ঘুরছে সেই ভয়ঙ্কর ছবি! যেখানে দেখা যাচ্ছে ফরাসি লিগের ম্যাচে প্যারিস সঁ জরমঁর গোলরক্ষক জানলুইজি ডোনারুমার ক্ষতবিক্ষত-রক্তাক্ত মুখ।
বুধবার পিএসজি খেলছিল মোনাকোর সঙ্গে। ম্যাচের ১৭ মিনিটে মোনাকোর ডিফেন্ডার উইলফ্রেড সিঙ্গোর শট আটকে দিয়েছিলেন ডোনারুমা। এ দিকে শট মারার পরে প্রচণ্ড গতিতে ছুটতে থাকা সিঙ্গো নিজেকে থামাতে না পেরে চেষ্টা করেছিলেন ডোনারুমাকে টপকে যেতে। কিন্তু তাঁর বুটের তলার দিকটা সরাসরি আঘাত করে ডোনারুমার মুখে। তাতে পিএসজি তারকার গালের অনেকটা অংশ বিশ্রী ভাবে কেটে যায়। এমনকি দশটি সেলাইও করতে হয় তাঁকে। ঘটনার পরে মাটিতে শুয়ে পড়েন ডোনারুমা। স্বভাবত মাঠও ছাড়তে হয় তাঁকে।
দুর্ঘটনার পরে প্রায় পাঁচ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। ফুটবল মহলের অনেকেই অবাক হয়ে যান, রেফারি সিঙ্গোকে হলুদ কার্ডও না দেখানোয়। তবে পিএসজির ম্যানেজার লুইস এনরিকে ম্যাচের পরে রেফারির সমালোচনা করেননি। তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে আমার তো কিছু করার নেই। তার প্রধান কারণ ঠিক কী হয়েছিল আমি ডাগআউটে বসে স্পষ্ট সেটা দেখতে পাইনি। তবে এই ধরনের ঘটনা ঘটলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সবসময় কঠিন। তাই সরাসরি রেফারিকে দোষ দিতে পারছি না।’’
নিজের দলের কোচ এনরিকে যাই বলুন, পিএসজির অধিনায়ক মারকুইনোস কিন্তু রীতিমতো বিরক্ত। তিনি পরিষ্কার বলে দেন ‘‘আমি তো বুঝতেই পারলাম না যে রেফারি সবকিছু ঠিক মতো দেখেছেন কি না। তবে ওঁর উচিত ছিল একবার অন্তত ঘটনাটা ভিডিয়োয় দেখে নেওয়ার। সেটা কেন করলেন না আমার জানা নেই। ভিডিয়োতে দেখলে হয়তো উনি আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে পারতেন।’’ বুধবারের এই দ্বৈরথে শেষ পর্যন্ত পিএসজি জেতে ৪-২ গোলে। উসমান দেম্বেলে জোড়া গোল করেন। গনসালো র্যামোস ও ডিসিয়ের ডু করেন একটি করে গোল।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)