Advertisement
E-Paper

আনোয়ারকে নিয়ে বিতর্ক চলছেই, মোহনবাগান থেকে পুরো বেতন পাননি ডিফেন্ডার?

আনোয়ার আলিকে নিয়ে নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, আনোয়ারের বেতন থেকে ‘অবৈধ ভাবে’ ২৭.৫ লক্ষ টাকা পেয়েছে তাঁর আসল ক্লাব দিল্লি এফসি। যদিও সেই ক্লাবের কর্ণধার রঞ্জিত বজাজ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২৪ ১৭:০৭
football

আনোয়ার আলি। — ফাইল চিত্র।

আনোয়ার আলিকে নিয়ে বিতর্ক থামছেই না। মোহনবাগানে খেলা ডিফেন্ডারকে সই করাতে ঝাঁপিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। তবে আনোয়ারকে নিয়ে এ বার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটি (পিএসসি)। এর মাঝেই নতুন তথ্য প্রকাশ্যে এল। জানা গিয়েছে, আনোয়ারের বেতন থেকে ‘অবৈধ ভাবে’ ২৭.৫ লক্ষ টাকা পেয়েছে তাঁর আসল ক্লাব দিল্লি এফসি। যদিও সেই ক্লাবের কর্ণধার রঞ্জিত বজাজ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ইংরেজি ওয়েবসাইট ‘খেল নাউ’-এর দাবি, ২০২১-এর মে মাসে আনোয়ার দিল্লির সঙ্গে পাঁচ বছরের চুক্তি সই করেন। ২০২২-এর ১ জানুয়ারি ১৮ মাসের লোনে দিল্লি থেকে এফসি গোয়া দলে যোগ দেন। সেই ক্লাবে ভাল খেলার সুবাদে ভারতের হয়ে অভিষেকও হয়। ২০২৩-এর ১ জুন মোহনবাগানে চার বছরের লোনে সই করেন আনোয়ার। লোনের চুক্তি অনুযায়ী, আনোয়ারকে নিতে ১১ কোটি টাকা দেওয়ার কথা মোহনবাগানের। যে হেতু লোনের চুক্তি আইএসএলের ‘স্যালারি ক্যাপ’-এর অন্তর্গত নয়, তাই যে কোনও ক্লাবের কাছেই এ ধরনের চুক্তি সুবিধার।

‘খেল নাউ’-এর তরফে দাবি করা হয়েছে, লোনের চুক্তি বাবদ শুরুতেই দিল্লিকে দু’কোটি টাকা দিয়েছিল মোহনবাগান। চার বছরের চুক্তির প্রথম বছরে আনোয়ার পেতেন ১.৫ কোটি টাকা এবং বাকি তিন বছর পেতেন ২.৫ কোটি টাকা করে। প্রথম বছরে মোহনবাগানের থেকে প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা করে পাওয়ার কথা ছিল আনোয়ারের। সেই টাকা পাওয়ার কথা ছিল দিল্লি এফসি মারফত। কিন্তু দিল্লি এফসি-র মালিক যারা, জেব্বোই ফেসিলিটি ডেভেলপার্স প্রাইভেট লিমিটেডের তরফে আনোয়ারকে প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকার বদলে ১২.২৫ লক্ষ টাকা করে দিয়েছে। ফলে গোটা বছরে আনোয়ার ২৭.৫ লক্ষ টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। দিল্লি যে হেতু লোনের শুরুতেই দু’কোটি টাকা পেয়েছে, তাই চুক্তি অনুযায়ী আনোয়ারের মাসিক বেতন থেকে আর কিছু পাওয়ার কথা নয়।

‘খেল নাউ’-এর দাবি, আনোয়ারকে পাকাপাকি সই করানোর জন্য দিল্লিকে ট্রান্সফার ফি হিসাবে তিন কোটি টাকা দিতে রাজি ইস্টবেঙ্গল। বেতন হিসাবে প্রতি বছর ৩.৫ কোটি টাকা পাওয়ার কথা ছিল আনোয়ারের।

দিল্লি কর্তা রঞ্জিত বজাজের দাবি, যে হেতু ফিফার নতুন নিয়ম অনুযায়ী কোনও ফুটবলার এক বছরের বেশি কোনও ক্লাবে লোনে থাকতে পারেন না, তাই মোহনবাগানের সঙ্গে আনোয়ারের চুক্তি শেষ হয়েছে। এখন তিনি পাকাপাকি ভাবে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দিতে চান। পিএসসি-কে পাঠানো ইমেলেও আনোয়ার একই জিনিস জানিয়েছেন। যদিও মোহনবাগানের দাবি, ভারতীয় ফুটবলে ফিফার নতুন নিয়ম এখনও চালু হয়নি। তাই আনোয়ারের দাবি অপ্রাসঙ্গিক।

রঞ্জিত অবশ্য যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এক্স হ্যান্ডলের (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টে তাঁর দাবি, পুরো ব্যাপারটিও অসত্য এবং ভুলে ভরা। প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy