ফাইল চিত্র।
এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলতে বৃহস্পতিবারই মুম্বই পৌঁছে গিয়েছে ভারতের মহিলা ফুটবল দল। ২০ জানুয়ারি প্রথম ম্যাচে আশালতা দেবীদের প্রতিপক্ষ ইরান। এশিয়ান কাপের শেষ আটে উঠতে পারলে ২০২৩ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজ়িল্যান্ড বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতেই মরিয়া থোমাস দেনার্বি।
শুক্রবার দুপুরে ভার্চুয়াল সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের কোচ বললেন, ‘‘আমি বাস্তববাদী। এই কারণেই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য শেষ আটে যোগ্যতা অর্জন করা। আমরা যদি লক্ষ্যে পৌঁছতে পারি, তা হলে অনেক কিছুই হতে পারে। নক-আউট পর্বে সব দলই একটু চাপে থাকে। আমরা ধাপে-ধাপে এগোতে চাই।’’ অধিনায়ক আশালতা দেবীও একমত কোচের সঙ্গে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের পাখির চোখ ২০২৩ বিশ্বকাপের মূল পর্বে যোগ্যতা অর্জন করে ইতিহাস গড়া। দেশের হয়ে সব সময়ই সর্বোচ্চ পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় খেলার স্বপ্ন দেখি। এ বার তা পূরণ করতে চাই।’’
এশিয়ান কাপে ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচ ২৩ জানুয়ারি। প্রতিপক্ষ চিনা তাইপে। ২৬ জানুয়ারি আশালতারা গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলবেন খেতাবের অন্যতম দাবিদার চিনের বিরুদ্ধে। দেনার্বি বলছেন, ‘‘প্রথম ম্যাচ সব সময়ই কঠিন হয়। গ্রুপ পর্বে আমাদের প্রতিপক্ষ যে তিনটি দল রয়েছে, তাদের সবার খেলার ধরন সম্পূর্ণ আলাদা। ফলে আমাদের খেলায় অনেক বেশি তীক্ষ্ণতা দরকার। বিপক্ষের সেট-পিসের সময় সতর্ক থাকতে হবে।’’
এশিয়ান কাপের জন্য দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে তারুণ্যের উপরেই মূলত জোর দিয়েছেন দেনার্বি। ১৫ জন ফুটবলারেরই বয়স পঁচিশের কম। আশালতা বললেন, ‘‘মাঠে নতুন ফুটবলারদের নানা ভাবে সাহায্য করাই আমাদের কাজ। নিজেদের অভিজ্ঞতা ওদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই। প্রয়োজনে পরামর্শও দেব। ওরা যদি মানসিক ভাবে চনমনে থাকে, তা হলেই ভাল খেলতে পারবে।’’ নিজের উদাহরণ দিয়ে তিনি যোগ করেছেন, ‘‘আমার বয়স যখন কম ছিল, জাতীয় দলে অগ্রজদের প্রচুর প্রশ্ন করতাম। নানা বিষয়ে জানতে চাইতাম। দলে সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। তা না হলে বোঝাপড়া গড়ে ওঠে না।’’
এশিয়ান কাপের প্রস্তুতি নিতেই ব্রাজিলে চার দেশীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ভারতীয় দল। প্রথম ম্যাচে ব্রাজিলের কাছে ১-৬ গোলে হেরেছিলেন সিল্কি দেবীরা। দ্বিতীয় ম্যাচে চিলির কাছে হার ০-৩ গোলে। তার পরে ভেনেজ়ুয়েলার কাছে ১-২ গোলে হারেন তাঁরা। যদিও তা নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন দেনার্বি। তিনি বলছেন, ‘‘সাত দিনের মধ্যে তিনটি ম্যাচ খেলার জন্য কী ভাবে তৈরি হতে হয় তা ব্রাজিলের প্রতিযোগিতায় ভাল ভাবে উপলব্ধি করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy