(বাঁ দিকে) ইগর স্তিমাচ ও সুনীল ছেত্রী। —ফাইল চিত্র।
এএফসি এশিয়ান কাপে টানা তিন ম্যাচে হেরে অভিযান শেষ করেছে ভারত। চল্লিশ বছরে এ বারই সবচেয়ে খারাপ ফল। একটিও গোল করতে পারেননি সুনীল ছেত্রীরা। সিরিয়ার বিরুদ্ধে হারের পর থেকেই সমাজমাধ্যমে কোচ ইগর স্তিমাচকে সরানোর দাবি জানান সমর্থকেরা।
বুধবার ভারতীয় সমর্থকদের উদ্দেশে ইগর বার্তা দিলেন সমাজমাধ্যমে। স্বীকার করে নিলেন, ভারতীয় দল প্রত্যাশামতো খেলতে পারেনি। দলের প্রত্যেকে যে ভাবে চেষ্টা করে গিয়েছেন তার জন্য তিনি গর্বিত। স্তিমাচ সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘বুঝতে পারছি ভক্তদের হতাশা। আমাদেরও মনের অবস্থা একই রকম। জানি ঠিক যে পর্যায়ে আমার দলের খেলোয়াড়েরা খেলতে পারে সেই পর্যায়ে পৌঁছতে পারেনি। তবে আমি জানি ওরা নিজেদের শেষটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছে। যে জন্য আমি গর্বিত।”
তবে ভবিষ্যতে যে তাঁরা উন্নতি করবেন, সেই আশ্বাসবাণীও শুনিয়েছেন। ইগরের কথায়, “আমাদের এই পর্যায়ের ফুটবল ক্রমাগত খেলে যেতে হবে। অস্ট্রেলিয়া, উজ়বেকিস্তানের মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধে খেললে আরও উন্নতি করতে পারব। অনেক কাজ করা বাকি রয়েছে। শুধু দেশের নয়, কাতারের ভারতীয় সমর্থকদের সবসময় আমাদের সমর্থন করে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাই।’’
সিরিয়ার বিরুদ্ধে হারের পরে স্তিমাচ সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, “আমাদের পরিকল্পনা ছিল গোল না খেয়ে ম্যাচটাকে ৬০ মিনিট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া এবং তার পরে শেষ ৩০ মিনিটে পরিবর্ত খেলোয়াড়দের নামিয়ে ইতিবাচক কিছু করা। কিন্তু তা সফল হয়নি।” প্রথম পনেরো মিনিট ছাড়া ভারতীয় দলকে দেখে একবারের জন্যও মনে হয়নি তারা মরণ বাঁচন ম্যাচ খেলতে নেমেছে। ৭৬ মিনিটে গোল করেন ওমর খরবিন।
ম্যাচের ৬০ মিনিটের পরে তিনটি পরিবর্তন করেন ইগর। নামেন সুরেশ, সাহাল আব্দুল সামাদ এবং অনিরুদ্ধ থাপা। কিন্তু তাঁরা প্রত্যাশাপূরণে ব্যর্থ হন। পরিবর্ত হিসেবে নেমে একমাত্র প্রভাব ফেলেন উদান্ত সিংহ। স্তিমাচ বলেন, “উদান্ত ছাড়া বাকিরা কেউই প্রভাব ফেলতে পারেনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy