মহিলাদের এএফসি এশিয়ান কাপের গ্রুপ বিন্যাস হয়ে গেল। সিডনির টাউন হলে ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। অংশগ্রহণকারী ১২টি দেশের কোচ এবং অধিনায়ককে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)। ভারতের তরফে উপস্থিত ছিলেন মহিলা দলের কোচ ক্রিস্পেন ছেত্রী এবং বঙ্গতনয়া সঙ্গীতা বাসফোর। বিশেষ সম্মান দেওয়া হয়েছে ভারতীয় দলে খেলা ইস্টবেঙ্গলের এই মিডফিল্ডারকে।
ভারতের নাম ছিল চার নম্বর পাত্রে। একই পাত্রে ছিল ইরান এবং বাংলাদেশ। চারটি পাত্র থেকে একটি করে দেশকে নিয়ে তিনটি গ্রুপ করা হয়েছে। ভারত রয়েছে গ্রুপ ‘সি’তে। গ্রুপ পর্বে ভারতের প্রতিপক্ষ জাপান, ভিয়েতনাম এবং চাইনিজ তাইপে। গ্রুপ ‘এ’তে আয়োজক অস্ট্রেলিয়া ছাড়াও রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, ইরান এবং ফিলিপিন্স। গ্রুপ ‘বি’তে রয়েছে উত্তর কোরিয়া, চিন, বাংলাদেশ এবং উজ়বেকিস্তান।
আগামী বছর ১ থেকে ২১ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি স্টেডিয়ামে হবে মহিলাদের ২১তম এশিয়ান কাপের ম্যাচগুলি। প্রতিটি গ্রুপের প্রথম দুই দল কোয়ার্টার ফাইনালে উঠবে। গ্রুপে তৃতীয় স্থানে শেষ করা তিনটি দলের সেরা দু’টিও শেষ আটে খেলার সুযোগ পাবে। প্রতিযোগিতার চার সেমিফাইনালিস্ট ২০২৭ সালের মহিলাদের ফুটবল বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে।
মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছেন ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গীতা। অস্ট্রেলিয়ার তেমেকা ইয়ালোপ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার জিওন ইউ গেয়ংয়ের সঙ্গে ড্রয়ে সহযোগিতা করেছেন ভারতীয় দলের মিডফিল্ডার। তাঁদের তিন জনকে এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। চারটি পটে রাখা দেশের নাম লেখা চিরকুটগুলি তুলেছেন তাঁরা। অর্থাৎ, তিন ফুটবলারের হাত দিয়েই ঠিক হয়েছে কোন দল কোন গ্রুপে যাবে।
ফিফা ক্রমতালিকা অনুযায়ী প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় দুর্বলতম দল ভারত। ভারতের মহিলাদের র্যাঙ্কিং ৭০। তার পর শুধু রয়েছে বাংলাদেশ (১২৮)। ভারতের গ্রুপে থাকা জাপান (৭), ভিয়েতনাম (৩৭) এবং চাইনিজ তাইপে (৪২) অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ক্রমতালিকার ভিত্তিতে। স্বভাবতই গ্রুপ পর্বের বাধা টপকানোই বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে ক্রিস্পেনের দলের জন্য। ২০২৬ সালের ৪ মার্চ ভারতের প্রথম প্রতিপক্ষ ভিয়েতনাম। গ্রুপের ভারতের দ্বিতীয় ম্যাচ ৭ মার্চ। প্রতিপক্ষ জাপান। গ্রুপ পর্বে ভারতের শেষ ম্যাচ ১০ মার্চ চাইনিজ তাইপের বিরুদ্ধে। ভারতের প্রথম দু’টি ম্যাচ পার্থে। তৃতীয় ম্যাচটি সিডনিতে।
২০০৩ সালের পর এই প্রথম এএফসি এশিয়ান কাপের মূলপর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে ভারতের মহিলা দল। ২০২২ সালে আয়োজক হিসাবে খেলার সুযোগ পেয়েছিল ভারত। উল্লেখ্য, ১৯৮০ এবং ১৯৮৩ সালে মহিলাদের এশিয়ান কাপে রানার্স হয়েছিল ভারত। ১৯৮১ সালে তৃতীয় স্থানে শেষ করেছিল।