বার্সেলোনার ত্রিমুকুট জয়ের স্বপ্ন ভেঙে গেল। মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে ইন্টার মিলানের কাছে তারা হেরে গেল ৩-৪ গোলে। দুই পর্ব মিলিয়ে বার্সেলোনা হারল ৬-৭ ব্যবধানে। মিলানের সান সিরোতে শেষ মুহূর্তে সমতা ফিরিয়ে এবং অতিরিক্ত সময়ে গোল করে শেষ হাসি সিমোনে ইনজাঘির মিলানের। ২০২৩ সালের পর আবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল তারা।
অতিরিক্ত সময়, দু’বার প্রত্যাবর্তন এবং ১৩ গোলের পর ফাইনালে উঠেছে ইন্টার। ২০২৩ সালে তারা হেরেছিল ম্যাঞ্চেস্টার সিটির কাছে। এ বার তারা খেলবে প্যারিস সঁ জরমঁ বনাম আর্সেনাল ম্যাচের বিজয়ীর বিরুদ্ধে।
প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও প্রথমার্ধে ২-০ এগিয়ে গিয়েছিল ইন্টার। লাউতারো মার্তিনেস এবং পেনাল্টি থেকে হাকান চ্যালহানোগ্লু গোল করেন। সান সিরোর সমর্থকেরা উৎসব শুরু করে দিয়েছিলেন। জানতেন না দ্বিতীয়ার্ধে কী অপেক্ষা করছে।
দ্বিতীয়ার্ধে সম্পূর্ণ অন্য বার্সেলোনাকে দেখা যায়। আক্রমণে তারা ফালাফালা করে দেয় ইন্টার রক্ষণ। বিরতির ন’মিনিট পরে এক গোল শোধ করেন এরিক গার্সিয়া। তার ছ’মিনিট পরে সমতা ফেরান দানি অলমো। তার পরেই প্রত্যাবর্তনের স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিল বার্সেলোনা। সেই স্বপ্ন বাড়িয়ে দেন রাফিনহা। ৮৭ মিনিটে গোল করেন তিনি।
তার পরেই চমক। সংযুক্তি সময় শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে গোল করেন ফ্রান্সেসকো এসার্বি। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। পরিবর্ত হিসাবে তার আগেই নেমেছিলেন ডেভিড ফ্রাত্তেসি। তিনি ৯৯ মিনিটে গোল করেন। সেই গোল আর শোধ করতে পারেনি বার্সেলোনা। লেমিনে ইয়ামালের একটি শট কোনও মতে আঙুল ছুঁইয়ে বাঁচান ইন্টার গোলকিপার ইয়ান সমার।
আরও পড়ুন:
ম্যাচের পর ফ্রাত্তেসি বলেন, “এখনও বুঝতে পারছি না কী হয়ে গেল। ম্যাচ শেষ করতে পেরে আমি ভাগ্যবান। গোলের পর এত চেঁচিয়েছি যে চোখে অন্ধকার দেখছিলাম।”
ইন্টার কোচ ইনজাঘি বলেছেন, “আমার খেলোয়াড়েরা অসাধারণ। দুটো দৈত্যাকার পারফরম্যান্স উপহার দিল ওরা। এ ভাবেই এগিয়ে যেতে হবে। ফাইনালে যে-ই আসুক, ম্যাচটা কঠিন হবে।”
ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজার পর হতাশ হয়ে বসে পড়েন বার্সেলোনার ফুটবলারেরা। কোচ হান্সি ফ্লিক বলেন, “আমি জানি সবাই হতাশ। তবে নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে গর্বিত। এই ফলাফল মেনে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।”