১৫ বছরের কেরিয়ারে অবশেষে ট্রফির স্বাদ হ্যারি কেনের, বায়ার্নের হয়ে জিতলেন বুন্দেশলিগা

অবশেষে ‘শাপমুক্তি’ হ্যারি কেনের। প্রতি বার তীরে গিয়ে তরী ডুবত। কাপ ও ঠোঁটের দূরত্বটা থেকেই যাচ্ছিল। বার বার হতাশা নিয়ে ফিরতে হত তাঁকে। ১৫ বছরের কেরিয়ারে অবশেষে হাসলেন তিনি। ট্রফি উঠল কেনের হাতে। বায়ার্ন মিউনিখের হয়ে জার্মানির বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন হলেন তিনি। এই প্রথম ট্রফিজয়ের স্বাদ পেলেন ইংল্যান্ডের ফুটবল দলের অধিনায়ক।

রবিবার লিগজ়িগের বিরুদ্ধে ৩-৩ ড্র হয় বায়ার্নের খেলা। দেখে মনে হচ্ছিল বায়ার্ন জিতবে। কিন্তু ম্যাচের শেষ দিকে গোল খেয়ে যায় তারা। তাতে অবশ্য দলের চ্যাম্পিয়ন হওয়া আটকায়নি। কারণ, অন্য ম্যাচে ফেইবুর্গের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বায়ের লেভারকুসেন। এই ম্যাচের পর বুন্দেশলিগার পয়েন্ট তালিকায় সকলের উপরে বায়ার্ন। ৩২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ৭৬। গত বারের বুন্দেশলিগা চ্যাম্পিয়ন লেভারকুসেনের পয়েন্ট ৩২ ম্যাচে ৬৮। তাদের থেকে ৮ পয়েন্ট এগিয়ে বায়ার্ন। বাকি আর দুই ম্যাচ। অর্থাৎ, কোনও ভাবেই বায়ার্নের কাছে পৌঁছতে পারবে না লেভারকুসেন। সেই কারণে দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কেনরা।

২০১০ সাল থেকে সিনিয়র ফুটবল শুরু করেন কেন। ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি খেলেছেন টটেনহ্যাম হটস্পারে। সেখানে ৩১৭ ম্যাচে ২১৩ গোল করলেও কোনও দিন চ্যাম্পিয়ন হতে পারেননি তিনি। তাঁর অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ ও ইউরো কাপে ভাল খেলেছে। ইংল্যান্ডের হয়ে ১০৫ ম্যাচে ৭১ গোল করেছেন কেন। কিন্তু ট্রফির স্বাদ পাননি। অবশেষে তা পেলেন। মূলত ট্রফির জন্য টটেনহ্যাম ছেড়ে ২০২৩ সালে জার্মানির ক্লাবে যোগ দেন কেন। তাঁর সেই সিদ্ধান্ত যে সঠিক, তা প্রমাণিত হল। বায়ার্নকে ট্রফি দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে কেনের। লিগে সবচেয়ে বেশি ২৪টি গোল করেছেন তিনি। বায়ার্নের হয়ে দুই মরসুমে ৬১ ম্যাচ খেলে ৬০ গোল করেছেন কেন। অর্থাৎ, দেশ বদলালেও তাঁর গোল করার দক্ষতা কমেনি। একের পর এক গোল করেই চলেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক।

সিরি এ জেতার পথে এগোল নাপোলি

ইটালির ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় এ বার চমক দিচ্ছে দিয়েগো মারাদোনার প্রাক্তন ক্লাব নাপোলি। ইন্টার মিলান, জুভেন্টাস, রোমা, এসি মিলানের মতো ক্লাবকে পিছনে ফেলে এগিয়ে গিয়েছে তারা। সিরি এ-র পয়েন্ট তালিকায় ৩৫ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নাপোলির। ৩৫ ম্যাচ খেলে ৭৪ পয়েন্ট ইন্টার মিলানের। নাপোলির বাকি তিনটি ম্যাচ নীচের সারির দলের বিরুদ্ধে। সেই তিনটি ম্যাচ থেকে ৭ পয়েন্ট তুলতে পারলেই ইটালির চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাবে তারা।

এমবাপের জোড়া গোলে জয় রিয়াল মাদ্রিদের

লা লিগায় বার্সেলোনার পিছু ছাড়ছে না রিয়াল মাদ্রিদ। সেল্টা ভিগোকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে তারা। জোড়া গোল করেছেন এমবাপে। এই জয়ের ফলে ৩৪ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট রিয়ালের। শীর্ষে থাকা বার্সার পয়েন্ট ৩৪ ম্যাচে ৭৯। চার পয়েন্ট পিছিয়ে রিয়াল। এখনও বাকি চারটি ম্যাচ। অর্থাৎ, ফেরার সামান্য সুযোগ রয়েছে রিয়ালের। সেল্টা ভিগোর বিরুদ্ধে পয়েন্ট হারালে ছয় পয়েন্টের পার্থক্য হয়ে যেত দু’দলের। অর্থাৎ, বলা যেতে পারে রিয়ালকে লড়াইয়ে রেখেছেন এমবাপে। এখন দেখার, স্পেনের লিগে বাজিমাত করে কোন দল।