বার্সেলোনায় মেসির শেষ পর্বে আর্জেন্টিনার ফুটবলারের আচরণে বিরক্ত হয়ে উঠেছিল ক্লাব। ফাইল ছবি
প্যারিস সঁ জরমঁকে জিতিয়ে যে দিন বার্সেলোনার বাড়িতে ঘুরতে গেলেন লিয়োনেল মেসি, সে দিনই প্রাক্তন ক্লাবের হয়ে তাঁর বিভিন্ন কীর্তির কথা ফাঁস করে দিল সংবাদমাধ্যম। তাদের দাবি, বার্সেলোনায় মেসির শেষ পর্বে আর্জেন্টিনার ফুটবলারের আচরণে বিরক্ত হয়ে উঠেছিল ক্লাব। মেসি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, তাঁকে ক্লাবে রাখতে গেলে ছয় ফুটবলারকে তাড়াতে হবে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন জেরার্ড পিকেও।
২০২১-এ বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজি-তে যোগ দেন মেসি। তার এক বছর আগে থেকেই ক্লাব ছাড়া নিয়ে তুমুল চর্চা চলছিল। সেই সময় মেসির প্রতিনিধি হয়ে বার্সেলোনাকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁর বাবা জর্জ। বার্সেলোনার তৎকালীন সভাপতি জোয়ান লাপোর্তাকে বলে দিয়েছিলেন, মেসিকে রাখতে গেলে পিকে-সহ ছ’জন ফুটবলারকে তাড়াতে হবে।
পিকে এবং মেসির দ্বন্দ্ব নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরেই স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে আলোচনা তুঙ্গে ছিল। পিকে থাকার কারণেই মেসি ক্লাব ছেড়েছেন বলে শোনা যায়। দু’জনে মিলে ক্লাবের হয়ে ৫০৬টি ম্যাচ খেলেছেন। কিন্তু সে সময় এক সাক্ষাৎকারে মেসির চুক্তিতে আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি, যা ভাল ভাবে নেননি মেসি। সে সময় ক্লাবের আর্থিক দুরবস্থা চলছিল। তার মাঝেই এই কথাবার্তা ফাঁস হয়ে যায়।
এমনকি, আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জেতার পরেও মেসিকে কোনও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠাননি। নিজেই বলেছিলেন, “গত একটা মাস আমার জীবনে খুব সমস্যার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। কোনও খেলা দেখিনি। বিশ্বকাপও দেখিনি। অনেকে পাগল ভাববেন আমায়। কিন্তু এটাই সত্যি।” উল্লেখ্য, শাকিরার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছেন পিকে।
পিকে ছাড়াও মেসির অপছন্দের ফুটবলারদের তালিকায় ছিলেন গোলকিপার মার্ক আন্দ্রে টের স্টেগেন, মিডফিল্ডার রিকি পুইগ, আঁতোয়া গ্রিজম্যান (এখন আতলেতিকো মাদ্রিদে খেলেন), আনসু ফাতি এবং তৎকালীন কোচ রোনাল্ড কোমান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy