রোনাল্ডো বিচ্ছেদের পর ক্লাব বিক্রির ভাবনা মালিক গ্লেজ়ার পরিবারের। ছবি: টুইটার।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর সঙ্গে মঙ্গলবার বিচ্ছেদ ঘোষণা করেছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। পরের দিনই ক্লাবের সঙ্গে বিচ্ছেদের ইঙ্গিত দিলেন কর্ণধার আব্রাম গ্লেজ়ার। গত ১৭ বছর ধরে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেডের মালিকানা রয়েছে গ্লেজ়ার পরিবারের কাছে।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে পিয়ার্স মর্গ্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোচ এরিক টেন হ্যাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার পরেই ক্লাবের সঙ্গে পর্তুগিজ তারকার বিচ্ছেদ ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে গ্লেজ়ার পরিবারের ক্লাব বিক্রি করার ভাবনার ইঙ্গিত এর আগে পাওয়া যায়নি। সে দিক থেকে পর পর দু’দিন দু’টি ধাক্কা খেল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি।
আমেরিকার ব্যবসায়ী পরিবারের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের কিছু ব্যাপারে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। সেই বিরোধ বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াতে পারে, তা আঁচ করা যায়নি। বুধবার ক্লাবের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বোর্ড পরিকল্পনাগত পরিবর্তনের কথা ভাবছে। তার মধ্যে রয়েছে ক্লাবে নতুন বিনিয়োগের ভাবনা। ক্লাব বিক্রি করা হতে পারে বা নতুন অর্থনৈতিক সমঝোতা হতে পারে।’
২০০৫ সালে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইডেট কেনে গ্লেজ়ার পরিবার। প্রথম থেকেই আমেরিকার এই ব্যবসায়ী পরিবারকে পছন্দ নয় ক্লাব সমর্থকদের। ২০১৩ সালে অ্যালেক্স ফার্গুসন কোচের পদ থেকে সরে যাওয়ার পর গত ন’বছর ক্লাবের পারফরম্যান্স ভাল নয়। ফার্গুসন জমানা শেষ হওয়ার পর কখনও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ জেতেনি ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। ২০১৭ সাল থেকে ক্লাব একটি ট্রফিও জেতেনি। চলতি মরসুমেও প্রিমিয়ার লিগে ম্যাঞ্চেস্টার রয়েছে পঞ্চম স্থানে। শীর্ষে থাকা আর্সেনালের থেকে ১১ পয়েন্ট পিছিয়ে তারা। ফার্গুসনের অবসরের পর গত ন’বছরে টেন হ্যাগ ক্লাবের পঞ্চম কোচ। সদস্য, সমর্থকদের ক্ষোভের অন্যতম কারণ এটাও। তাঁদের অভিযোগ, মালিক পক্ষ ক্লাবের সাফল্য, পারফরম্যান্স এবং ঐতিহ্য নিয়ে যথেষ্ট আন্তরিক নয়।
ক্লাবের এক্সিকিউটিভ কো-চেয়ারম্যান আব্রাম এবং তাঁর ভাই তথা ডিরেক্টর জোয়েল গ্লেজ়ার জানিয়েছেন, ‘আমরা সমস্ত সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছি। সমর্থকদের জন্য যেটা সব থেকে ভাল হবে, সেটাই বেছে নেওয়া হবে। উন্নতির যে কোনও সুযোগের যতটা সম্ভব কাজে লাগাতে চায় ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। সেটা এখন হোক বা ভবিষ্যতে।’ ওল্ড ট্যাফোর্ডের স্টেডিয়ামের সংস্কারের জন্য বিপুল অর্থের প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন গ্লাজ়ের ভাইরা। উল্লেখ্য, ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলির স্টেডিয়ামগুলির মধ্যে বৃহত্তম ওল্ড ট্র্যাফোর্ড। ৭৪ হাজার দর্শকাসনের স্টেডিয়ামটির শেষ সংস্কার হয়েছিল ২০০৬ সালে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy