এ ভাবেই বার বার মোর্তাদা ফলদের (বাঁ দিকে) কাছে আটকে গেলেন জনি কাউকোরা। ছবি: এক্স।
দু’দলের প্রথম লক্ষ্যই ছিল গোল না খাওয়া। কোনও রকমে ১ পয়েন্ট নিয়ে ফেরা। সেই কাজে সফল মোহনবাগান ও ওড়িশা। ৯০ মিনিট ধরে রক্ষণাত্মক ম্যাচ শেষে খেলা ড্র হল। গোল করতে পারল না কোনও দল। ফলে পয়েন্ট তালিকায় এক নম্বরেই থাকল ওড়িশা। তিন নম্বরেই থাকল মোহনবাগান। তার মাঝেও ম্যাচে বেশি সুযোগ পেয়েছিল বাগান। আর্মান্দো সাদিকু সেই সব সুযোগ নষ্ট না করলে হয়তো এক নম্বরে থেকে শহরে ফিরতে পারত আন্তোনিয়ো লোপেজ় হাবাসের দল।
প্রথমার্ধেই ৩-০ গোলে এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। হ্যাটট্রিক করে ফেলতে পারতেন আর্মান্দো সাদিকু। কিন্তু পারলেন না তিনি। প্রথমার্ধে যে সুযোগ তিনি নষ্ট করলেন তা ফুটবলে অপরাধ। দু’বার গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারলেন না। নইলে প্রথমার্ধেই খেলার ছবি স্পষ্ট করে দিতে পারত মোহনবাগান।
ঘরের মাঠে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে নেমেছিল ওড়িশা। কোচ সের্জিয়ো লোবেরা ঠিক করে নিয়েছিলেন, বাগান ফুটবলারদের জায়গা দেবেন না। ম্যান মার্কিংয়ে চলে যান তিনি। বাগানের ফুটবলারেরা বল পেলেও প্রেস করছিল ওড়িশা। ফলে ফাঁকা জায়গা পাওয়া যাচ্ছিল না। টানা দু-তিনটে পাস খেলতেই সমস্যা হচ্ছিল দু’টি দলের।
তার মাঝেই ওড়িশার রক্ষণের ভুলে ২৪ মিনিটে ভাল সুযোগ পান সাদিকু। আশিস রাইয়ের ক্রস থেকে বল পান সাদিকু। সামনে একা ছিলেন ওড়িশার গোলরক্ষক অমরিন্দর সিংহ। দ্বিতীয় পোস্ট পুরোটাই ফাঁকা ছিল। সাদিকু শট না মেরে গোল থেকে দূরে বল নিয়ে যান তিনি। তার পরে বার উঁচিয়ে শট মারেন।
৩৪ মিনিটের মাথায় আবার বক্সে বল পান সাদিকু। সাহাল আবদুল সামাদের পাস ধরে গোল করতে পারতেন তিনি। তাঁর বল গোলরক্ষকের পায়ে লেগে বাইরে বেরিয়ে যায়। প্রথমার্ধের বিরতির ঠিক আগে সব থেকে ভাল সুযোগ পায় ওড়িশা। বক্সে ঢুকে ডান পায়ে জোরালো শট মারেন দিয়েগো মৌরিসিয়ো। বল বারে লেগে বেরিয়ে যায়।
প্রথমার্ধে তা-ও একটু আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের খেলা হলেও দ্বিতীয়ার্ধে পুরোটাই বন্ধ হয়ে যায়। দু’দলই মাঝমাঠে খেলতে থাকে। সে রকম ভাবে কোনও দলই আক্রমণ করতে পারছিল না। মিস্ পাস হচ্ছিল। ফলে খেলার ছন্দ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। তার মধ্যেই দু-এক বার দু’দলই সুযোগ পায়। কিন্তু বক্সে গিয়ে সব আক্রমণ নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, দু’দলই ম্যাচ না হারার মানসিকতা নিয়ে নেমেছে। কোনও রকমে ১ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারলেই খুশি তারা।
শেষ দিকে জেসন কামিন্সের হেড ভাল বাঁচান অমরিন্দর। নইলে নায়ক হতে পারতেন অস্ট্রেলীয় ফুটবলার। গোল হয়নি। ফলে ১ পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়তে হল দু’দলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy