গোল করে সতীর্থের সঙ্গে উচ্ছ্বাস সুহেলের (বাঁ দিকে)। ছবি: টুইটার।
কলকাতা লিগে এত দিন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই অনায়াসে জিতছিল মোহনবাগান। শনিবার প্রথম কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়ল তারা। জিততে অসুবিধা হল না। ২-০ গোলে ইউনাইটেড স্পোর্টসকে হারিয়ে দিল তারা। গোল করলেন নংডোম্বা নাওরেম এবং সুহেল ভাট।
দু’দিন আগেই ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানের হয়ে খেলা বেশ কিছু ফুটবলারকে এ দিন প্রথম একাদশে রেখেছিলেন কোচ বাস্তব রায়। তাই শুরু থেকেই মোহনবাগানের ফুটবলারদের মধ্যে কিছুটা ক্লান্তি নজরে এসেছিল। প্রথমার্ধের শুরুর দিকে গোলকিপার অর্শ আনোয়ার এগিয়ে এসেছিলেন গোললাইন ছেড়ে। ইউনাইটেডের এক ফুটবলার দূর থেকে শট নেন। তবে গোলের অনেক দূর দিয়ে তা চলে যায়।
মোহনবাগানের খেলার মধ্যে আগ্রাসনের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। সেই সুযোগে ইউনাইটেডের ফুটবলারেরা ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিচ্ছিলেন। খেলার কিছুটা বিপরীতেই এগিয়ে যায় মোহনবাগান। ২৮ মিনিটে গোল করেন নাওরেম। ইউনাইটেডের দুই ডিফেন্ডারকে ডজ করে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে গোল করেন তিনি।
৩৫ মিনিটে গোল খেয়ে যেতে পারত মোহনবাগান। বিপক্ষের দীপেশ মুর্মু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমার্ধে ইউনাইটেডের খেলা মোহনবাগানের থেকে অনেকটাই ভাল ছিল। কিন্তু সুযোগ কাজে না লাগানোর খেসারত দেয় তারা।
দ্বিতীয়ার্ধেও ইউনাইটেড অনেক আগ্রাসী হয়ে শুরু করে। বার বার মোহনবাগানের গোলমুখে উঠে আসছিল তাদের ফুটবলারেরা। মোহনবাগান দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে গোলের একটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ৬৮ মিনিটের মাথায় নাওরেমের একটি শট বাঁচিয়ে দেন বিপক্ষ গোলকিপার। পরের মিনিটেই দিনের সহজতম সুযোগ নষ্ট করে ইউনাইটেড। আবার গোল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন মোহনবাগানের গোলকিপার অর্শ। তখনও ইউনাইটেডের ফুটবলার বাহাদুর গুরুংয়ের পায়ে বল ছিল। কিন্তু ফাঁকা গোলেও বল ঠেলতে পারেননি তিনি।
পরের দিকে আরও একটি সুযোগ মিস্ করে ইউনাইটেড। সেই সুযোগ নষ্টের খেসারত দিতে হয় ম্যাচের শেষ দিকে গিয়ে। প্রতি আক্রমণে উঠেছিল ইউনাইটেড। খেলার বিপরীতে বল পেয়ে ১৮ গজ দূর থেকে জোরালো শটে গোল করেন সুহেল। কাশ্মীরের এই ফুটবলার দু’দিন আগে ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচেও গোল করেন। কলকাতা লিগেও নিজের অষ্টম গোলটি করে ফেললেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy