Advertisement
E-Paper

‘বাবার ক্লাবকে হারিয়েছি’, ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করা কিয়ান লড়ছেন দলে জায়গা পাকা করতে

কিয়ান খেলেন মোহনবাগানের হয়ে। বাবাকে রাগাতে কখনও কখনও বলেন, “তোমার ক্লাবকে হারিয়েছি।” তাতে যদিও জামশেদ রাগ করেন না। ছেলের সাফল্যে তিনি খুশি।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ২১:১০
picture of Kiyan Nassiri

কিয়ান নাসিরি। —ফাইল চিত্র।

কলকাতা ডার্বিতে হ্যাটট্রিক। কিয়ান নাসিরির শুরুটা এই ভাবেই। ইস্টবেঙ্গলে খেলা ইরানের ফুটবলার জামশেদ নাশিরির পুত্র তিনি। কিন্তু কিয়ান খেলেন মোহনবাগানের হয়ে। বাবাকে রাগাতে কখনও কখনও বলেন, “তোমার ক্লাবকে হারিয়েছি।” তাতে যদিও জামশেদ রাগ করেন না। ছেলের সাফল্যে তিনি খুশি।

জামশেদ যে সময় ভারতে খেলতে এসেছিলেন, সেই সময় কোনও বিদেশি ফুটবলারকে খেলাত না মোহনবাগান। তাই ইস্টবেঙ্গল এবং মহমেডানে খেললেও সবুজ-মেরুনের হয়ে খেলা হয়নি জামশেদের। তাঁর ছেলে কিয়ান শুধু মোহনবাগানের হয়ে খেলেননি, জীবনের প্রথম ডার্বিতে হ্যাটট্রিকও করেছিলেন। আইএসএলের ওয়েব সাইটে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিয়ান বলেন, “ঘটনাটা আমাকে চমকে দিয়েছিল। কখনও ভাবিইনি যে, এমনও হতে পারে। কিন্তু এই বিশাল ঘটনা শুধু আমাকে চমকে দেয়নি, ক্লাবের সমর্থকদের ও আমার পরিবারের সদস্যদেরও চমকে দিয়েছিল। আমার বাবা সারা জীবন ইস্টবেঙ্গলে খেলেছে আর আমি আছি সেই ক্লাবের চিরপ্রতিদ্বন্দী শিবিরে। তবে এখন আমার কাছে সে সব অতীত। এখন আমি আগামী ডার্বির দিকে তাকিয়ে রয়েছি।”

শনিবার আইএসএলে মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। সদ্য সুপার কাপ জিতেছে লাল-হলুদ। সেই প্রতিযোগিতায় মোহনবাগানকে হারিয়েছে তারা। তাই শনিবারের ডার্বি নিয়ে দুই শিবিরেই আগ্রহ তুঙ্গে। কিয়ান চাইছেন সেই ডার্বি জিততে। তাঁর রক্তে ফুটবল। চাইছেন মোহনবাগানের প্রথম একাদশে নিজের জায়গা পাকা করতে। কিয়ান বলেন, “আইএসএল-ই আমার কাছে ভারতের সবচেয়ে বড় লিগ। এর গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ, উঠতি ফুটবলাররা সবাই এই লিগে খেলতে চায় ও জাতীয় দলে ডাক পেতে চায়। আমিও জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চাই। এই লিগে অনেক ভাল ভাল দল খেলে। প্রতি বছরই কোনও না কোনও দল যোগ দিচ্ছে। সারা দেশের ফুটবলারদের কাছে এটা একটা বড় সুযোগ এবং আমি আইএসএলের অঙ্গ হয়ে উঠতে পেরে খুবই খুশি।”

Kiyan Nassiri Mohun Bagan Kolkata Derby
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy