চাকরি পেলেন মনোতোষ। ফাইল ছবি
সন্তোষ ট্রফির ফাইনালে কেরলের কাছে হেরে গিয়েছে বাংলা। কিন্তু গোটা প্রতিযোগিতাতেই দুর্দান্ত খেলেছেন অধিনায়ক মনোতোষ চাকলাদার এবং দিলীপ ওঁরাও। দু’জনেই উঠে এসেছেন অভাবী পরিবার থেকে। দারিদ্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজেদের ফুটবলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ বার সেই মনোতোষ এবং দিলীপের পাশে দাঁড়াল রাজ্য সরকার। দু’জনকেই সরকারি চাকরি দেওয়া হল। বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে সাংবাদিক বৈঠকে এ কথা জানান রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
পরে অরূপ আনন্দবাজর অনলাইনকে বলেন, “দু’জনেরই আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। মুখ্যমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমে ওদের সম্পর্কে জানেন। সঙ্গে সঙ্গে মন্ত্রীসভার বৈঠকে তিনি নিজের কোটা থেকে সরকারি চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। দিলীপের বাবা পুরসভার সাফাইকর্মী। মা অন্যের বাড়িতে রান্না করে। মনোতোষও অত্যন্ত দরিদ্র পরিবারের। আগামী ৯ তারিখ ওদের কাছে চাকরির নিয়োগপত্র পৌঁছে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগের ফলে বাংলার আরও ছেলে ফুটবল খেলতে এগিয়ে আসবে। আরও অনেক প্রতিভা খুঁজে বের করব আমরা।”
টালির চালের বাড়িতে থাকেন মনোতোষ। বাবা রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে খেলতে গিয়ে তাঁর মাথা ফেটে গিয়েছিল। সেই অবস্থাতেই তিনি খেলে যান। তাঁর সাহসিকতা প্রশংসিত হয়েছিল সে সময়। সেই মনোতোষই এ বার সরকারি চাকরি পাবেন। অন্য দিকে, নাগেরবাজারের কাজিপাড়ায় থাকেন দিলীপ। ফাইনালে কেরলের বিরুদ্ধে গোল করেছিলেন তিনি। কিন্তু দিলীপের ঘরে এখনও বিদ্যুৎ নেই। বাবা দক্ষিণ দমদম পুরসভার সাফাইকর্মী। অভাবের মধ্যে দিয়েই লড়াই করে বড় হয়ে উঠেছেন দিলীপ। সরকারি চাকরি পরিবারের পাশে দাঁড়াতে পারবেন, এমনটাই আশা দিলীপের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy