মহমেডানের সঙ্গে ঘরের মাঠে ড্র করল ওড়িশা। সেই সঙ্গেই তাদের প্লে-অফের স্বপ্ন বড় ধাক্কা খেল। সুবিধা হয়ে গেল ইস্টবেঙ্গলের। প্লে-অফে উঠতে গেলে বাকি দলগুলির পয়েন্ট নষ্টের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ইস্টবেঙ্গলকে। ওড়িশা ড্র করায় তাদের ২৩ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট হল। কোনও ভাবে ৩৩ পয়েন্টের বেশি যেতে পারবে না তারা। ইস্টবেঙ্গলও সব ম্যাচ জিততে পারলে ৩৩ হবে। তখন লাল-হলুদের কিছুটা সুবিধা হয়ে যাবে।
তবে ইস্টবেঙ্গলের সামনে বড় দুই বাধা নর্থইস্ট ইউনাইটেড এবং মুম্বই সিটি এফসি। নর্থইস্টের ২২ ম্যাচে ৩২ এবং মুম্বইয়ের ২১ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট। এই দুই দলেরই ৩৩ পয়েন্টে পৌঁছোনো চলবে না। পয়েন্ট নষ্ট করলে তবে ইস্টবেঙ্গলের সুযোগ থাকবে। এর মধ্যে নর্থইস্টের একটি ম্যাচ বাকি ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গেই। সেই ম্যাচে লাল-হলুদকেই জিততে হবে।
খেলা শুরুর কয়েক মিনিটের মধ্যেই ইসাকের থেকে বল পেয়েছিলেন ওড়িশার রহিম আলি। তিনি পাস দেন দিয়েগো মৌরিসিয়োকে। ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার সুযোগ নষ্ট করেন। মহমেডানও এগিয়ে যেতে পারত। বাঁ দিক থেকে দৌড়ে লালরেমসাঙ্গা পাস দিয়েছিলেন মনবীর সিংহকে। সেটি ক্লিয়ার করে দেন থইবা সিংহ। প্রতি আক্রমণে খেলা ওড়িশা ২০ মিনিটের মাথায় আর একটি সুযোগ পেয়েও নষ্ট করে।
আরও পড়ুন:
দ্বিতীয়ার্ধে শুরুটা ভাল হয়েছিল মহমেডানের। মনবীরের শট বাঁচান অমরিন্দর সিংহ। ওড়িশার ইসাক ব্যস্ত রেখেছিলেন মহমেডান রক্ষণকে। বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করেও ফ্রাঙ্কা গোল করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত কোনও দলই গোলমুখ খুলতে পারেননি। মরসুমে শেষ বেলায় ড্র-ই অক্সিজেন মহমেডানের কাছে।