ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। —ফাইল চিত্র
চলতি মরসুমে সৌদির ক্লাব আল নাসেরের হয়ে প্রথম গোল করলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তার সঙ্গেই নতুন নজির গড়লেন তিনি। হেডে গোল করার নিরিখে সবাইকে ছাপিয়ে গিয়েছেন পর্তুগালের এই ফুটবলার।
আন্তর্জাতিক ও ক্লাব ফুটবল মিলিয়ে এত দিন হেডে গোল করার নিরিখে সবার উপরে ছিলেন জার্মানির গার্ড মুলার। হেডে ১৪৪টি গোল করেছিলেন তিনি। সোমবার রাতে আল নাসেরের হয়ে হেডে নিজের ১৪৫তম গোল করলেন রোনাল্ডো। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে গোল করেন তিনি। ডান দিক থেকে ভাসানো ক্রসে শূন্যে শরীর ঝাঁপিয়ে হেড করেন তিনি। রোনাল্ডোর হেড বাঁচাতে পারেননি গোলরক্ষক। আরব ক্লাব চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে ২-১ গোলে তিউনিসিয়ার ক্লাব মোনাস্তিরকে হারিয়েছে আল নাসের।
আগের ম্যাচেই অবশ্য বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রোনাল্ডো। আল শাবাবের বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়। রেফারি ম্যাচ শেষ হওয়ার বাঁশি বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসেন রোনাল্ডো। প্রতিপক্ষ ফুটবলারদের সঙ্গে সৌজন্য বিনিয়ম করতেও দেখা যায়নি তাঁকে। শুকনো মুখে মাঠ ছাড়ার সময় রোনাল্ডোকে ক্যামেরাবন্দি করছিলেন সম্প্রচারকারী চ্যানেলের এক চিত্রগ্রাহক। রোনাল্ডো মাঠের বাইরে চলে আসার পরে সাইড বেঞ্চের সামনে খুব কাছ থেকে রোনাল্ডোর ছবি তুলছিলেন তিনি। ম্যাচ ড্র হওয়ায় বিরক্ত রোনাল্ডো তাতে মেজাজ হারান। মাঠের বাইরে দাঁড়িয়ে জল খাচ্ছিলেন। খানিকটা জল ওই চিত্রগ্রাহকের দিকে ছুড়ে দেন রোনাল্ডো। একই সঙ্গে ওই চিত্রগ্রাহককে সরে যেতে বলেন পর্তুগিজ তারকা। এই ঘটনায় তৈরি হয়েছে নতুন বিতর্ক।
প্রতিযোগিতায় গ্রুপের প্রথম ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে খুশি ছিলেন না রোনাল্ডো। খেলা চলার সময়ও একাধিক বার তাঁকে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছিল। খেলা শেষ হওয়ার পর মাঠ ছাড়ার সময় হতাশা মাথা নাড়তে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সে সময় ওই চিত্রগ্রাহক তাঁকে অনুসরণ করার নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। রোনাল্ডো চলে যেতে বলার সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে সরে যান চিত্রগ্রাহক। ফলে ঘটনাটি বেশি দূর গড়ায়নি। যদিও এই ঘটনা সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে বেশি সময় লাগেনি।
সৌদি আরবে আসার পর থেকে একের পর বিতর্কে জড়িয়েছেন রোনাল্ডো। এর আগে প্রতিপক্ষ ক্লাবের এক কোচিং স্টাফকে ধাক্কা দিয়েছিলেন। খারাপ ব্যবহার করেছিলেন ফুটবলপ্রেমীদের সঙ্গেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy