স্পেনের ফুটবল প্রধান লুইস রুবিয়ালস। —ফাইল চিত্র।
ইস্তফা দিতে নারাজ স্পেনের ফুটবল প্রধান লুইস রুবিয়ালস। এমন অবস্থায় তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করল স্পেনের সরকার। রুবিয়ালস তাঁর কাজের যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তাতে খুশি হতে পারছেন না স্পেনের ক্রীড়া সচিব ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কস।
গত রবিবার মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতেছিল স্পেন। পুরস্কারের মঞ্চে স্পেনের মহিলা ফুটবলার জেনি হারমোসোর ঠোঁটে চুম্বন করেছিলেন রুবিয়ালস। সাজঘরে ফিরে হারমোসো সেই ঘটনা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন। তার পর থেকেই রুবিয়ালসের ইস্তফার দাবি উঠতে শুরু করেছে। কিন্তু তিনি ইস্তফা দিতে রাজি নন। স্প্যানিশ ফুটবল প্রধানের দাবি, তিনি সম্মতি নিয়েই ঠোঁটে চুম্বন করেছিলেন। তা যদিও খারিজ করে দিয়েছেন হারমোসো। তিনি দাবি করেছেন, ওই ঘটনার পর তাঁর উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে সত্যি কথা না বলার জন্য।
স্পেনের ক্রীড়া সচিব ভিক্টর ফ্র্যাঙ্কস বলেন, “এই ঘটনাকে সরকার ভাল চোখে দেখছে না। এই বিষয়টার উপর জোর দিতে চাই। রুবিয়ালস প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ করতে পারেননি। যে কাজ তিনি করেছেন, তা মেনে নেওয়া যায় না। উনি নিজের কাজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। কিন্তু তা সন্তোষজনক নয়। বরং বিতর্ক আরও বেড়ে গিয়েছে।”
শুক্রবার রুবিয়ালস বলেছিলেন, “হারমোসো পেনাল্টি ফস্কেছিল। তাই আমি ওকে সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম। বলছিলাম ভুলে যাও পেনাল্টির কথা। জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তাকে আমি চুম্বন করতে পারি কি না। ও রাজি ছিল। হঠাৎ করেই হয়েছিল পুরো ঘটনাটা। তবে সম্মতি নিয়েই হয়েছিল। এর পরেও আমাকে ফাঁসানো হবে? আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।”
যদিও শনিবার হারমোসো সমাজমাধ্যমে লেখেন, “লুইস রুবিয়ালস যে কথোপকথনের কথা বলেছেন, সেটা হয়নি। আর চুম্বনে আমার কোনও সম্মতি ছিল না। রুবিয়ালস ঘটনার দিক থেকে সকলকে ঘুরিয়ে দিতে চাইছে। আমি এই ঘটনার জন্য অভিযোগ জানাতে চাই। কর্মক্ষেত্র হোক বা খেলার জায়গা, কোথাও এমন জিনিস হওয়া উচিত নয় বলেই মনে করি। যা ঘটেছে, তাতে আমি নিজেকে সুরক্ষিত মনে করছি না। এমন কাজ কখনওই ওই মঞ্চে করা উচিত হয়নি বলে আমি মনে করি। আর আমার সম্মতি ছাড়া এমন কাজ যৌন হেনস্থার সামিল। সোজা কথায়, আমার সম্মানহানি করা হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy