ভারতীয় ফুটবলের অচলাবস্থা দূর করতে বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়র সঙ্গে বৈঠক করলেন আই লিগের আটটি ক্লাবের কর্তারা। তবে ছিলেন না ডেম্পো এবংআইজ়ল এফসি-র প্রতিনিধিরা।
কী হল বৈঠকে? ক্রীড়ামন্ত্রীকে আইএসএল এবং আই লিগ নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানান ক্লাব কর্তারা। পাশাপাশি, তাঁর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন যাতে ২০২৬ সালের ৫ জানুয়ারির মধ্যে আই লিগ শুরু হয়। দ্বিতীয়ত, আইএসএলের আয়োজকদেরই দায়িত্ব দিতে হবে আই লিগ পরিচালনার। বৈঠকের পরে আই লিগের ক্লাবের কর্তারা বললেন, ‘‘ক্রীড়ামন্ত্রী আমাদের বক্তব্য গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন। ক্রীড়া সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন, ফেডারেশনের কর্তাদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজে বার করতে।’’
ফেডারেশনের অস্বস্তি আরও বাড়াল পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন (এশিয়া ওশিয়ানিয়া)। বৃহস্পতিবার তারা এআইএফএফ-কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, আইএসএলের অনিশ্চয়তার জন্য ফুটবলারেরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অধিকাংশ ক্লাবই প্রথম দলের সমস্ত কাজকর্ম অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে। বেতনও বন্ধ করে দিয়েছে অনেক ক্লাব। অথচ ভারতের ফুটবল ফেডারেশন ফুটবলারদের রক্ষা করতে কোনও ইতিবাচক পদক্ষেপ করেনি। যা স্পষ্টতই চুক্তিভঙ্গ। ফেডারেশনকে আইএসএল শুরুর দিন ঘোষণা করতে হবে। পাশাপাশি আইএসএলের ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ, কোচিং স্টাফরাও অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে সেই ফুটবলারদের চুক্তি থাকা সত্ত্বেও ক্লাবরা জরুরিকালীন পরিস্থিতি (ফোর্স মেজর) দেখিয়ে হয়তো তাঁদের বেতন বন্ধ করে দিতে পারেন।
সূত্রের খবর বৃহস্পতিবারই ফেডারেশন কর্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ১৮ নভেম্বর ফের আইএসএলের ক্লাবগুলির সিইও-দের সঙ্গে আলোচনা করবেন। তবে এ বার ‘ভার্চুয়াল’ বৈঠক নয়। দিল্লির ফুটবল হাউজ়ে মুখোমুখি কথা বলবেন। কারণ, বুধবার সন্ধেয় ভার্চুয়াল বৈঠকে ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের কেউ ছিলেন না। জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় হতে চলেছে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আইএসএল শুরু করা। কারণ, সুপ্রিম কোর্টে আগামী ১৯ নভেম্বর আইএসএলের দরপত্র সংক্রান্ত মামলা তালিকাভুক্ত করার আবেদন জানানোর পরিকল্পনা রয়েছে ফেডারেশনের।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)