মেসি কলকাতায় পৌঁছোনোর কয়েক মিনিট আগে তিনি পোস্ট করেছিলেন, ‘‘এটা নামাই, তার পর ‘বদ্দা’কে এনে বিদায় নেব’। ‘বদ্দা’ মানে বাঙালির আর এক প্রিয় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তিনি ঠিক করে রেখেছিলেন, ভারতের চার শহরে লিয়োনেল মেসির সফর শেষ করার পরবর্তী লক্ষ্য হবে রোনাল্ডোকে ভারতে আনা। তবে মেসি কলকাতায় পা রাখার কয়েক ঘণ্টা পরে যা ঘটল, তাতে ‘অকাল অবসরে’ চলে যেতে হল তাঁকে। তিনি শতদ্রু দত্ত। ব্যবসায়ী পরিচয়ের পাশাপাশি যাঁর আর একটি পরিচিতি ‘স্পোর্টস প্রোমোটার’ বা ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে।
শতদ্রু অতীতে কলকাতায় এনেছেন পেলে, দিয়েগো মারাদোনা থেকে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কাফু বা আর্জেন্টিনার গত বিশ্বকাপজয়ী দলের গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে। কিন্তু মেসির ক্ষেত্রে সব হিসাব গোলমাল করে ফেললেন। এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য যে প্রস্তুতি, অনুমানক্ষমতা, সমন্বয় ও নিখুঁত পরিকল্পনার দরকার হয়, তার আন্দাজ কি ছিল না শতদ্রুর? অনুষ্ঠান গড়ানোর কিছু ক্ষণের মধ্যে শুরু হয়ে গেল বিশৃঙ্খলা। তার পর দেড় ঘণ্টা ধরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি দেখা গেল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। পুলিশের সঙ্গে সমর্থকদের মারপিট, চেয়ার ভাঙা, বোতল ছোড়া— বাদ যায়নি কিছুই।
শতদ্রুর জন্ম এবং বেড়ে ওঠা হুগলির রিষড়ায়। এই রিষড়া থেকেই উঠে এসেছেন ভারতের প্রাক্তন ফুটবলার সুধীর কর্মকার, শিশির ঘোষেরা। তবে ফুটবল নয়, ছোটবেলায় শতদ্রুর পছন্দ ছিল ক্রিকেট। শ্রীরামপুরের হোলি হোম স্কুলে পড়াশোনা। এর পরে অর্থনীতি নিয়ে লেখাপড়া। পেশা হিসাবে বেছে নেন ওয়েল্থ ম্যানেজমেন্ট এবং ইনভেস্টমেন্ট ব্যাঙ্কিং। কেরিয়ারের শুরুতে চাকরি করেছেন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে। তবে ২০১১-য় চাকরি ছেড়ে দেন নতুন কিছু শুরু করবেন বলে। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ছোটবেলা থেকেই তাঁর জীবনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গি ভাবে জড়িয়ে খেলাধুলো। নিজে খেলোয়াড় হতে পারেননি। তবে ভারতে আন্তর্জাতিক খেলোয়াড়দের এনে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে চান। একমাত্র পুত্রসন্তানের নাম রেখেছেন ‘দিয়েগো’। তাকে ফুটবলার তৈরি করতে চান। বিদেশে পাঠিয়েছেন খেলা শেখাতে।
শতদ্রুর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ব্যবসায় নেমে জামাইবাবুর সঙ্গে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট শুরু করেন তিনি। প্রথম প্রথম ছোটখাটো অনুষ্ঠান সামলাতেন। তবে শতদ্রুর উচ্চাশা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা বরাবরই বেশি। তিনি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা গড়ে তোলেন। ধীরে ধীরে সৌরভকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া শুরু করেন। অর্থপ্রাপ্তি বাড়তে থাকে। বছর দুয়েক আগে সৌরভের জন্মদিনে ‘লন্ডন আই’-এর সামনে দাঁড়িয়ে নাচগান করতেও দেখা গিয়েছিল শতদ্রুকে। সৌরভের সঙ্গে যোগাযোগ এবং পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ক্রমশ কলকাতার ক্রীড়ামহলে নিজের একটা জায়গা তৈরি করতে থাকেন শতদ্রু। নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ‘স্পোর্টস প্রোমোটার’ হিসাবে। কাজে লাগান সমাজমাধ্যমকে। সেখানে নিয়মিত ছবি, ভিডিয়ো পোস্ট করতে থাকেন বিখ্যাত খেলোয়াড়দের সঙ্গে। ফলে নানা মহলে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন রাজনীতিবিদ থেকে খ্যাতনামী ব্যক্তিত্বরাও গুরুত্ব দিতে শুরু করেন শতদ্রুকে। তবে ঘটনাপ্রবাহ বলছে, যে ক’টি ইভেন্ট শতদ্রু করেছেন, তার প্রায় সবগুলিতেই কমবেশি বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি উঠেছে দর্শকদের ঠকানোর অভিযোগও। যার চরম পরিণতি দেখা গেল শনিবারের বারবেলায়, যুবভারতীতে।
২০১৫-য় প্রথম শতদ্রুর ‘সাফল্য’ পেলেকে কলকাতায় আনা। ১৯৭৭-এ ফুটবলার পেলে এসে ইডেন গার্ডেন্সে ফুটবল খেলেছিলেন মোহনবাগানের বিরুদ্ধে। তবে এ শহরের আধুনিক প্রজন্মের কাছে পেলেকে চাক্ষুষ দেখা সে বারই প্রথম। অব্যবস্থা সে বারও ছিল। তবে তা নিয়ে আলোচনা বিশেষ হয়নি। সমস্যা হয় দু’বছর পর, ২০১৭-য় মারাদোনাকে আনার সময়। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী ভারতে দ্বিতীয় বার আসবেন শুনে তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছিল গোটা শহরে। অনুষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে লাইন লেগে গিয়েছিল স্পনসর সংস্থাগুলির। সে বারও যুবভারতীতে আসার কথা ছিল মারাদোনার। তিনি এসেছিলেন। এবং মেসির মতো মারাদোনাকে ঘিরেও ছিল প্রচুর লোকের ভিড়। তবে দু’জনের মেজাজ আলাদা। মেসিকে যেখানে শনিবার শান্ত মুখে (বিরক্ত যদি হয়েও থাকেন তা তাঁর শরীরের ভঙ্গিমায় ধরা পড়েনি) সকলের সব আবদার মিটিয়েছেন। মারাদোনা সেখানে স্টেডিয়ামে গাড়ির উপর উঠে পড়েছিলেন। বুকে বার বার হাত দিয়ে জনতার অভিবাদন গ্রহণ করেছিলেন। স্টেডিয়ামের জনতার স্বপ্নপূরণ হয়েছিল। তবে চেতলা অগ্রণী এবং কৈখালিতে এক স্পনসরের অনুষ্ঠানে ভিড় দেখেই তিনি নামতে চাননি। শোনা গিয়েছিল, রাগের চোটে তিনি প্রকাশ্যে নিজের ম্যানেজারকেই সপাটে চড় মেরেছিলেন।
পেলের সঙ্গে শতদ্রু (বাঁ দিকে)। ছবি: পিটিআই।
এর পর শতদ্রুর উদ্যোগে কলকাতায় এসেছেন কাফু, রোনাল্ডিনহো, বেবেতো, জুনিনহোরা। ধারে-ভারে এঁরা কেউই মেসি বা মারাদোনার মতো নন। ফলে সাধারণ মানুষের আগ্রহ ছিল কম। বিতর্কও খুব বেশি প্রকাশ্যে আসেনি।
সমস্যা প্রবল হয় এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে আনার সময়। বিশ্বকাপ জয়ের ঠিক সাত মাস পরে কলকাতায় পা দিয়েছিলেন ‘দিবু’। প্রথম অনুষ্ঠান ছিল বাইপাসের ধারে বিশ্ববাংলা অডিটোরিয়ামে। সেখানে হাজির ছিলেন এই প্রতিবেদক। তিনি অডিটোরিয়ামে ঢোকার আগেই দেখেছিলেন, বাইরে পুলিশের সঙ্গে গোলমাল চলছে কিছু সমর্থকের। কাছে গিয়ে জানা গিয়েছিল, ওই সমর্থকেরা যে টিকিটগুলি এনেছিলেন সেগুলি জাল। অথচ সমর্থকদের দাবি ছিল, সেগুলি অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে কেনা। ভিতরে ঢুকে দেখা গিয়েছিল, কোনও স্পষ্ট দিক্নির্দেশিকা নেই। কে কোথা দিয়ে ঢুকবেন, কোথা দিয়ে বেরোবেন কিছুই বোঝা যাচ্ছিল না।
মার্তিনেসকে দেখার জন্য সাধারণ সমর্থকদের টিকিট কাটতে হয়েছিল। সেটিও ছিল চড়া দামের। পাশাপাশি, বেশি দামের টিকিটে ছিল মার্তিনেসের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের সুযোগও। অনুষ্ঠানের শুরু থেকেই তৈরি হয় বিশৃঙ্খলা। মার্তিনেস মঞ্চে আসতেই তাঁর কাছে যাওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। দাম অনুযায়ী সমর্থকদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সে সব লাটে ওঠে কিছু ক্ষণ পরেই। শুধু তা-ই নয়, মার্তিনেসের সঙ্গে ছবি তোলার জন্য কলকাতার দুই প্রধানের কর্তা এবং প্রাক্তন ফুটবলারেরা আদেখলাপনা শুরু করেন। মাঝারি মাপের মঞ্চে প্রায় শ’দুয়েক লোক উঠে যান। এক সময় ঢাকা পড়ে যান মার্তিনেসই। মঞ্চ থেকে মাইক হাতে কলকাতার এক প্রধানের কর্তাকে প্রকাশ্যে গালি দিতেও শোনা গিয়েছিল। তিনি এক প্রাক্তন ফুটবলারের উদ্দেশে অশ্লীল শব্দ প্রয়োগ করে জানতে চেয়েছিলেন, কেন তিনি মঞ্চে উঠছেন না।
মার্তিনেসের সঙ্গে শতদ্রু (বাঁ দিকে)। ছবি: পিটিআই।
ভিড়ের চাপে সময়ের আগেই মার্তিনেস বিশ্ববাংলা অডিটোরিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে সমর্থকদের বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। অনেকেই প্রতিবাদ করেন, টাকা দিয়েও মার্তিনেসের সই করা জার্সি বা একসঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের সুযোগ পাননি। তখনও উঠেছিল শতদ্রুকে গ্রেফতারের দাবি। এর পর মার্তিনেসকে নিয়ে যাওয়া হয় মোহনবাগান মাঠে। সেখানে পুলিশ কাপের ম্যাচ দেখেন। বিশৃঙ্খলা ছিল সেখানেও। পরের দিন রিষড়ায় নিজের বাড়িতে মার্তিনেসকে নিয়ে যান শতদ্রু।
মার্তিনেস বিদায়ের পর থেকেই মেসিকে আনার চেষ্টা শুরু করেন তিনি। আর্জেন্টিনার রোসারিয়োয় মেসির বাবা জর্জের সঙ্গে দেখা করে মেসিকে কলকাতায় আনার জন্য তদ্বির করতে থাকেন। প্রথমে এ ধরনের অনুষ্ঠান নিয়ে আগ্রহ দেখাননি মেসি বা তাঁর বাবা কেউই। ধীরে ধীরে বরফ গলে। সূত্রের খবর, শতদ্রু এতটাই আর্থিক লাভের কথা শোনান যে, মেসির দল তা ফেলতে পারেনি। অবশেষে মেসি ভারতে আসতে রাজি হয়ে যান। গত ১১ ডিসেম্বর সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে শতদ্রু লেখেন, “৯৯৭ দিনের লড়াই, ৩১৭টা বিমান আর ৩/৪ ঘণ্টার ঘুম। আর তিন দিনের লড়াই।”
বিভিন্ন সূত্র থেকে শতদ্রু সম্পর্কে যা জানা গিয়েছে, তাতে ইতিবাচক থেকে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সংখ্যাই বেশি। মেসিকে আনতে বেশ কয়েক বার রোসারিয়ো এবং মায়ামিতে যেতে হয়েছে শতদ্রুকে। সেখান থেকে বিভিন্ন সময়েই জার্সি এনেছেন তিনি। কখনও তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে, কখনও মোহনবাগান ক্লাবকে, কখনও শিল্পপতি সঞ্জীব গোয়েন্কাকে। ঘনিষ্ঠজনেরা জানিয়েছেন, সেগুলি আদৌ মেসির সই করা কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অর্থাৎ সেগুলি জালও হতে পারে বলে কারও কারও সন্দেহ রয়েছে।
মেসির সঙ্গে শতদ্রু (ডান দিকে)। ছবি: পিটিআই।
মেসিকে আনবেন বলে বহু দিন আগে থেকেই রাজনীতিবিদ, স্পনসর থেকে শুরু করে বিভিন্ন মানুষকে এই উদ্যোগে শামিল করার এবং অর্থ বিনিয়োগ করানোর চেষ্টা করেছিলেন শতদ্রু। শোনা গিয়েছে, বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন রকম প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। মেসির সঙ্গে শতদ্রুর সংস্থার ঠিক কী চুক্তি হয়েছে, তা কখনওই প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ফলে অনেক সমর্থকই শনিবার ভেবেছিলেন, মেসি এসে যুবভারতীতে খেলবেন। নিদেনপক্ষে অন্তত ফুটবলে একটি-দু’টি শট মারবেন। আদপে হয়নি তাঁর কিছুই। যাঁরা প্রচুর অর্থ ঢেলেছিলেন এই অনুষ্ঠানের জন্য, সেই স্পনসরেরাও ঠিক করে জানতেন না যে কী হতে চলেছে। এতটাই অস্পষ্ট ছিল এই সফর। ঘনিষ্ঠজনেরা বলছেন, এটা নতুন কিছু নয়। শতদ্রু বরাবরই এমন কাজ করে থাকেন। বলেন এক, আর করেন আর এক। তাঁর আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা হবে না, এমনটা ভাবাই যায় না। শতদ্রুকে কাছ থেকে চেনেন এমন কিছু সূত্র আক্ষেপ করে বলেছেন, “মার্তিনেস কখনওই মেসির মতো জনপ্রিয় নয়। সেখানে যদি ও রকম বিশৃঙ্খলা হয়ে থাকে, তা হলে মেসির সময় কী হবে তা আগে থেকে বোঝা উচিত ছিল। অতীত থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত ছিল।”
আরও পড়ুন:
-
মেসির সফরের মূল উদ্যোক্তা শতদ্রু বিমানবন্দর থেকে পাকড়াও, ডিজি বললেন, ‘দর্শকদের টাকা ফেরত দেওয়া উচিত’
-
কর্তা-মন্ত্রীদের ঘেরাটোপে মেসি! চড়া দামে টিকিট কেটেও বঞ্চিত দর্শকেরা, যুবভারতীতে বোতল পড়ল মাঠে, ভাঙল চেয়ার-ফেন্সিং
-
ফুটবলের রাজপুত্রের সঙ্গে দেখা বলিউড বাদশার, হোটেলেই সাক্ষাৎ দুই তারকার, ছিলেন সুয়ারেজ়ও, আর কী কী হল
শনিবার যুবভারতীতে যখন ধুন্ধুমার চলছে, তখন আচমকাই প্রেসবক্সে দেখা গেল কিছু পুলিশকে। তাঁরা এসে দ্রুত প্রেসবক্স খালি করার নির্দেশ দিলেন। সঙ্গে দিলেন অমোঘ সাবধানবাণী, “আপনারা দয়া করে গলার অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড খুলে তার পর বেরোবেন। না হলে বিপদ হতে পারে।” কার্ডে শতদ্রুর নাম ছিল যে! মাঠফেরত হতাশ আর ক্রুদ্ধ মেসিভক্তের কণ্ঠে শোনা গেল, ‘‘সুদীপ্ত সেনের মতোই কাজ করেছেন শতদ্রু। মানুষের টাকা নিয়ে তছরুপ।’’
শতদ্রুকে কয়েক বছর কাছ থেকে দেখা ময়দানের এক ফুটবলকর্তা তথা ব্যবসায়ীর কথায়, ‘‘ইভেন্ট করে টাকা আয় করার মধ্যে অন্যায়ের কিছু নেই। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও একটা ন্যূনতম সততা লাগে। যাঁদের থেকে টাকা নিচ্ছি তাঁদের প্রতি একটা দায়দায়িত্ব থাকে। এটা ওর নেই। টাকার নেশা আর অতিরিক্ত লোভই ওকে শেষ করে দিল।’’
‘স্পোর্টস প্রোমোটার’ শতদ্রুর ‘প্রোমোটিং’-এর ভবিষ্যৎ শনিবারের পর খুব একটা সহজ হবে না, বলাই বাহুল্য। আপাতত তিনি গ্রেফতার হয়ে পুলিশের হাতে। তাঁর রিষড়ার বাড়ির সামনে পুলিশ পিকেট বসাতে হয়েছে পরিবারের নিরাপত্তার জন্য।