ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচের একটি মুহূর্ত। — ফাইল চিত্র।
আইএসএলে আপাতত কিছু দিনের বিরতি। আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে সুপার কাপ। এ বার পুরো প্রতিযোগিতাই হবে ভুবনেশ্বরে, ওড়িশা সরকারের সহযোগিতায়। তাই এই প্রতিযোগিতার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কলিঙ্গ সুপার কাপ’। সেই প্রতিযোগিতায় ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান-সহ ১৬টি দল খেলছে। দুই প্রধান কার বিরুদ্ধে কবে খেলবে?
কিছু দিন আগেই সুপার কাপের সূচি প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান গ্রুপ ‘এ’-তে রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে হায়দরাবাদ এফসি এবং আই লিগের প্রথম স্থানাধিকারী দল। এই মুহূর্তে আই লিগে সবার উপরে মহমেডান থাকলেও তারা সুপার কাপে খেলতে রাজি নয়। তাই দুই প্রধানের গ্রুপে আসতে পারে দ্বিতীয় স্থানে থাকা রিয়াল কাশ্মীর।
সবার আগে মাঠে নামছে ইস্টবেঙ্গল। ৯ জানুয়ারি দুপুর ২টোয় তারা খেলবে হায়দরাবাদ এফসি-র বিরুদ্ধে। একই দিনে মাঠে নামছে মোহনবাগানও। তারা সাড়ে ৭টা থেকে খেলবে আই লিগের দলটির বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় রাউন্ডেও একই দিনে মাঠে নামবে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। ১৪ জানুয়ারি দুপুর ২টো থেকে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে খেলবে মোহনবাগান। সাড়ে ৭টা থেকে ইস্টবেঙ্গল খেলবে আই লিগের দলটির সঙ্গে।
১৯ জানুয়ারি হবে সেই বহু প্রতীক্ষিত ম্যাচ। কলকাতা ডার্বিতে মুখোমুখি হবে ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। করোনার পরে এই প্রথম কলকাতার বাইরে অন্য কোথাও ডার্বি হবে। করোনার সময়ে আইএসএলের চারটি ডার্বি হয়েছিল গোয়াতেই। এই ম্যাচটি হবে কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে। গ্রুপের বিজয়ী দল সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করবে। ফলে মোহনবাগান বা ইস্টবেঙ্গলের মধ্যে যে কোনও একটি দলের কাছে সেমিফাইনালে যাওয়ার সুযোগ থাকছে। সেমিফাইনাল হবে ২৪ এবং ২৫ জানুয়ারি। ফাইনাল ২৮ জানুয়ারি।
দুই প্রধানই সুপার কাপে কিছুটা পিছিয়ে থেকে নামছে। কারণ একই সময়ে চলবে এশিয়ান কাপ। ফলে জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ২৬ জনকে তাদের ক্লাবগুলি পাবে না। এ ব্যাপারে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে। তাদের মাত্র দু’জন ফুটবলার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। কিন্তু মোহনবাগানের সাত জন এশিয়ান কাপে খেলবেন। ফলে দুই প্রধানকেই স্থানীয় ফুটবলারদের অতিরিক্ত সুযোগ দিতে হবে। নির্ভর করতে হবে বিদেশিদের উপরেই।
আইএসএলে হারের হ্যাটট্রিক দিয়ে বছর শেষ করার পর মোহনবাগানের কোচ জুয়ান ফেরান্দোর কাছে সুপার কাপ অগ্নিপরীক্ষা। যদি তিনি দলকে চ্যাম্পিয়ন করাতে না পারেন, তা হলে চাকরি যাওয়া নিশ্চিত। দায়িত্বে আনা হতে পারে অধুনা টেকনিক্যাল ডিরেক্টর আন্তোনিয়া লোপেস হাবাসকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy