ছুটি: বড়দিনের উৎসবে পরিবার নিয়ে মেতেছেন মেসি। টুইটার।
প্রথম জনের সঙ্গে তিনি ক্লাবকে উপহার দিয়েছেন ১৪টি ট্রফি। দ্বিতীয় জনের সঙ্গে তুলনায় সম্পর্কটা দীর্ঘস্থায়ী না হলেও ক্লাবকে তুলে দিয়েছেন ন’টি ট্রফি। পেপ গুয়ার্দিওলা এবং লুইস এনরিকে-কেই তাঁর দেখা দুই সেরা গুরু হিসেবে মেনে নিলেন লিয়োনেল মেসি।
স্পেনার এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনা তারকা স্পষ্ট করে দেন, ফুটবলার হিসেবে আরও তীক্ষ্ণ এবং ক্ষুরধার হয়ে উঠেছেন এঁদের সাহচর্যে থেকেই। পরিসংখ্যান বলছে, ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত গুয়ার্দিওলা বার্সেলোনার দায়িত্বে থাকার সময় মেসি দলের সঙ্গে নিজেও ছিনিয়ে নেন তিন বার বালঁ দ্যর ট্রফি, দুবার পিচিচি ট্রফি এবং দুবার ইউরোপীয় গোল্ডেন বুট। যা নিয়ে মেসি বলেছেন, “পেপ-এর কোচিংয়ে একটা বিশেষ ব্যাপার ছিল। তিনি একটা পথ ধরেই সমস্ত কিছুর শিক্ষা দিতেন। কীভাবে ম্যাচের জন্য তৈরি হতে হবে। রক্ষণের সঙ্গে কী ভাবে আক্রমণে ওঠা দরকার, ম্যাচটাকে কোন পথে চালনা করা প্রয়োজন এবং কী ভাবে তা জেতা সম্ভব, এই ব্যাপারগুলো পেপ খুব ভাল ভাবে বুঝিয়ে দিতেন।” যোগ করেন, “আমি খুব ভাগ্যবান যে, গুয়ার্দিওলার মতো মানুষকে পেয়েছি। যিনি আমাকে শরীর এবং মনের দিক থেকে শক্তিশালী করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, মাঠে খেলার ক্ষেত্রেও দিয়েছিলেন স্বাধীনতা।” ঠিক উত্তরসূরি লুইস এনরিকে সম্পর্কেও একই ধরনের প্রশংসা শোনা গিয়েছে ৩৩ বছরের বার্সা তারকার মুখে।
গত মরসুমের শেষে তৎকালীন ক্লাব প্রেসিডেন্ট জোশেপ মারিয়া বার্তোমেউ-এর সঙ্গে ব্যক্তিত্বের সংঘাত এবং তার সূত্র ধরে কর্তাদের কাছে ফ্যাক্সবার্তা পাঠিয়ে ক্লাব ছাড়ার অনুরোধ, এই বিষয়গুলি নিয়ে বারবার বার্সেলোনা তারকাকে পড়তে হয়েছে মানসিক অশান্তির মধ্যে। হিসাব মতো চলতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে বাকি রয়েছে ছ’মাস। তবে সেই বিতর্কের পালা শেষ করে তিনি যে এখন ফুরফুরে মেজাজে আছেন, তা জানিয়েছেন মেসি। বলেছেন, “এটা সত্য যে, গত গ্রীষ্মে খুবই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়েছে। তবে এখন আমি ভাল আছি। গত মরসুম শেষ হওয়ার পরে কী হয়েছিল, কী কারণে আমাকে ব্যুরো ফ্যাক্স পাঠাতে হয়েছিল, সেই বিষয়গুলো এখন মন থেকে মুছে ফেলেছি। এখন আমি ভাল আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy