প্রসঙ্গ: ফাইনালে ফ্রান্সের চ্যালেঞ্জ।
রোনাল্ডো: ফ্রান্স ফেভারিট। কারণ ওরা ঘরের মাঠে খেলছে। সেটা বিরাট অ্যাডভান্টেজ। গোটা দেশটাই তো ফাইনালে ফ্রান্সের জন্য গলা ফাটাবে। তবে ফাইনালে কিন্তু সব কিছুই সম্ভব। আমরা তৈরি হয়েই নামব। আমাদের হারানো সহজ হবে না। টুর্নামেন্টের গোড়া থেকে আমাদের কেউ হারাতে পারেনি। আশা করছি ফ্রান্সও পারবে না।
প্রসঙ্গ: পর্তুগালকে ইউরো চ্যাম্পিয়ন করা।
রোনাল্ডো: সব সময় এই স্বপ্নটা দেখে এসেছি। পর্তুগালের জার্সিতে যদি ট্রফি জিততে পারি আমার জন্য সেটা বিরাট ব্যাপার হবে। প্রার্থনা করছি সেটাই যেন হয়। চ্যাম্পিয়ন হব— এই বিশ্বাসটা আমার যেমন আছে, তেমনই আমার সতীর্থরা, দেশের মানুষ আর ফ্রান্সের পর্তুর্গিজ কমিউনিটিও সেটা বিশ্বাস করে।
প্রসঙ্গ: ফাইনালে ওঠার অনুভূতি।
রোনাল্ডো: অনন্য অনুভূতি। ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। ইচ্ছা ছিল ফের ফাইনালে ওঠার। সেটা পেরেছি। ভাগ্য সঙ্গ দিয়েছে।
প্রসঙ্গ: পর্তুগালের হয়ে প্রথম কোনও ট্রফি জেতার টার্গেট।
রোনাল্ডো: আমরা জানি লড়াইটা সোজা নয়। প্রতিপক্ষ বেশ কঠিন। গ্রেট অপোনেন্ট। গ্রেট ন্যাশনাল টিম। তবে ফাইনালে কিন্তু যে কোনও দিকে খেলা গড়াতে পারে। সব সম্ভব। দুটো দলের জন্যই ম্যাচটা কঠিন হতে চলেছে।
প্রসঙ্গ: ইউরোয় রেকর্ডের পর রেকর্ড গড়ে চলা। চারটে ইউরোয় গোল করা প্রথম ফুটবলার। ন’গোল করে প্লাতিনিকে ছোঁয়া....
রোনাল্ডো: এগুলো তো স্বাভাবিক ভাবেই হতে থাকবে। রেকর্ড নিয়ে আমি অত মাথা ঘামাই না। রেকর্ড তো হতে থাকে। ব্যাপারটা দারুণ তবে ওই পর্যন্তই। আমি কী অবস্থায় আছি সেটা বড় কথা। আমার এখন যেমন দারুণ লাগছে। নিজেকে তরুণ, শক্তিশালী মনে হচ্ছে। তাই এখন আমার সবচেয়ে বড় চাওয়া হল, এই ভাবেই সাফল্যটা ধরে রাখা।
প্রসঙ্গ: ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া।
রোনাল্ডো: নিজেকে প্রতিদিন আরও উন্নত করে যাওয়ার চেষ্টা করাটা খুব কঠিন। আমি সেটা ধরে রাখতে চাই। কেন না এক জন ফুটবল প্লেয়ারের কাছে এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জটার সঙ্গে অনবরত লড়াই করে যেতে হবে।
প্রসঙ্গ: ২০২০ ইউরোয় খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর। যখন বয়স হবে ৩৫।
রোনাল্ডো: আমাদের এখন সব সময় ইতিবাচক ভাবনা ভাবতে হবে। অতদূরে তাকাতে চাই না। এখন যেমন আমাদের বিশ্বাস, রবিবার পর্তুগাল প্রথম বার একটা গুরুত্বপূর্ণ ট্রফি জিতবে।