Advertisement
E-Paper

দু’দলে পার্থক্য উনিশ-বিশ, ফ্রান্স এগিয়ে রক্ষণে

রিভাল্ডো

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০১৮ ০৫:২৪
অস্ত্র: মাঝমাঠের লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার সামনে চ্যালেঞ্জ পোগবা। গেটি ইমেজেস 

অস্ত্র: মাঝমাঠের লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়ার সামনে চ্যালেঞ্জ পোগবা। গেটি ইমেজেস 

ফ্রান্স আর ক্রোয়েশিয়া। সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি রাস্তায় দৌড়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে মুখোমুখি।

ক্রোয়েশিয়াকে দিয়েই শুরু করা যাক। এমন তিনটি ম্যাচ খেলে এসেছে ওরা, যা অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে। তার মানে এই নয় যে ওদের খেলায় আলাদা বৈশিষ্ট্য নেই। বরং উল্টোটা সত্যি। ইংল্যান্ড ম্যাচটার কথা ধরা যাক। ইংরেজরা টেকনিক্যাল দিকে দারুণ। সব ফুটবলার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ খেলে। অসম্ভব ভাল দৌড়য় প্রত্যেকে। তবু ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে পেরে উঠল না কারণ ওরা প্রতিপক্ষকে জমিয়ে খেলার জায়গাই দেয় না। হ্যারি কেনের মতো ফরোয়ার্ডও কেমন গুটিয়ে গেল। ভেবেছিলাম যে কেউ জিততে পারে ম্যাচটা। কিন্তু খেলা দেখে বুঝলাম ক্রোটরা ইংল্যান্ডকে খেলতেই দেবে না। সঙ্গে প্রতি-আক্রমণের অবিশ্বাস্য ক্ষমতা দলটার। মাঞ্জুকিচের গোল তার জ্বলন্ত প্রমাণ। অনেকে বলবেন, অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচ নিয়ে গিয়ে ওরা জিতেছে। ইংল্যান্ড, রাশিয়া, ডেনমার্ক— প্রতি ক্ষেত্রেই এক গল্প। আমি কিন্তু এটা ওদের দুর্বলতা হিসেবে দেখছি না। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গেলে জেতা আরও কঠিন হয়ে যায়। টাইব্রেকার আরও জটিল বিষয়। সুতরাং ক্রোয়েশিয়া আমার চোখে রীতিমতো শক্তিশালী।

পাশাপাশি ফ্রান্সকে দেখুন। কাদের ওরা হারিয়েছে। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে স্বাধীন ভাবে খেলা সব চেয়ে সহজ। খেলেছেও পল পোগবারা। উরুগুয়ে দলে ওদের সেরা ফুটবলার এদিনসন কাভানি ছিল না। আর বেলজিয়ামকে দেখে মনে হয়েছে, সেমিফাইনালে ওঠাই অনেক কিছু। এর বেশি যেতেই চায় না। আমি তো বলব, একদিন বেশি বিশ্রাম পাওয়া দিদিয়ে দেশঁর ছেলেরা আসল পরীক্ষাটা দেবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধেই। ওদের আসল শক্তি রক্ষণ। বিশেষ করে রাফায়েল ভারান। অসম্ভব গতি। সঙ্গে ভিভেল সিদিবে আর বাঁজামা মেন্দিও বেশ ভাল। কিন্তু আসল পরীক্ষা ওদের দিতে হবে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। জানি ভারে ফ্রান্সকে ফাইনালে সবাই এগিয়ে রাখবে। যারা রাখবে, তাদের বলব গত বারের ইউরো ফাইনালের কথাটা মনে রাখতে। সে বারও ফ্রান্সকেই সবাই ফেভারিট বলেছিল। কিন্তু ট্রফি নিয়ে গেল পর্তুগিজরা। সব কিছুই সম্ভব।

দেখছিলাম, এই বিশ্বকাপে সব চেয়ে বেশি সেন্টার করেছে ক্রোয়েশিয়া। বল কোথায় পড়বে ওদের আক্রমণের লোকদের একেবারে মুখস্থ। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পেরিসিচের গোলটা যেমন। এখানে একটা কথা। ফ্রান্সের রক্ষণেও অন্তত দু’জন এমন ফুটবলার আছে যারা একেবারে ঠিকঠাক আন্দাজ করে ফেলে বলের গতিপথ। আমি বাঁজামা পাভা আর রিকায় হার্নান্দেসের কথা বলছি। এখানেই শেষ নয়। এই দু’জনই কিন্তু মাঝেমাঝেই বিপক্ষ বক্সে গোল করার জায়গায় পৌঁছে যায়। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পাভা যেমন করেছিল।

এমনিতে ফাইনালিস্ট দু’টি দলেরই সুবিধে, গোল করার লোকের অভাব নেই। স্ট্রাইকার, মিডফিল্ডারেরা তো আছেই। কম যায় না অন্যরাও। ভারানে আর স্যামুয়েল উমতিতিরা তো ওভারল্যাপেই গোল করেছে। ক্রোয়েশিয়ায় যেমন দামাগোজ ভিদা। আমার তো মনে হয় দু’দলের ফারাক উনিশ-বিশ। হতে পারে ফ্রান্স একটু এগিয়ে। সেটা কিন্তু ওদের রক্ষণের জন্য। আমি আলাদা করে আর এক জনের কথা বলব। ক্রোয়েশিয়ার কোচ জ্লাটকো দালিচ। ম্যাচের চরিত্র অসম্ভব ভাল ধরতে পারে। সঙ্গে ফুটবলারদের উদ্বুদ্ধ করার অদ্ভুত ক্ষমতা আছে। আমি অবশ্য দেশঁকে খাটো করছি না। রণনীতি তৈরি করতে ওস্তাদ লোক এই ফরাসি কোচ। কিন্তু রবিবার একটা ভূত ওর ঘাড়ে থাকবেই। সেই ইউরো ফাইনালে ফেভারিট হওয়া সত্ত্বেও পর্তুগালের কাছে হারার স্মৃতি নিশ্চয়ই উদ্বেগে রাখবে দেশঁকে। (চিভাস স্পোর্টস)

Football Pogba France Advantage Fifa World Cup 2018 বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy