তরুণী গফের চোখে অন্য স্বপ্ন ছবি রয়টার্স
খেলার জগতে অল্প বয়সে বিখ্যাত হয়ে যাওয়া নতুন কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু বিখ্যাত হওয়ার পর সেই প্রত্যাশার চাপ সামলাতে পারেন ক’জন? গত বছর ইউএস ওপেন জেতার পর ব্রিটেনের খেলোয়াড় এমা রাডুকানু তাঁর সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। একই আশঙ্কা আমেরিকার কোকো গফকে নিয়েও।
সেরিনা উইলিয়ামসকে দেখে টেনিস শুরু করা গফ মাত্র ১৫ বছর বয়সে প্রথম কোনও গ্র্যান্ড স্ল্যাম খেলেছিলেন। প্রতিভার ঝলক দেখা গিয়েছিল ওই বয়সেই। কিন্তু তা সাফল্যে রূপান্তরিত হতে পারেনি। প্রত্যাশার চাপ গ্রাস করেছে গফকে। এখন তিনি কোনও চাপ নিতে চাইছেন না। তাই ফরাসি ওপেনে জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনালে উঠে অনায়াসে বলে দিলেন, সপ্তাহ দুয়েক আগে গ্র্যাজুয়েট হওয়াই তাঁর কাছে বেশি গর্বের। গ্র্যান্ড স্ল্যাম সেমিফাইনালে ওঠা নয়।
মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গলসে স্লোয়েন স্টিফেন্সকে হারানোর পর বিকেলে সানিয়া মির্জাদের হারিয়ে ডাবলস ম্যাচেও জিতেছেন গফ। তার পরেই বলেছেন, “গ্র্যাজুয়েশন কি আমার কাছে কঠিন ছিল? অবশ্যই। কারণ স্কুলে গিয়ে ক্লাস করা এবং স্কুল শেষ হলে রাস্তায় টেনিস খেলা কতটা কঠিন, সেটা আমিই জানি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক খেলোয়াড়ই হারিয়ে যায়। আমরা যারা খেলি, তারা অনেকেই ভাবি খেলাই হয়ত জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তা নয়। আমার কাছে অন্তত হাই স্কুলের ডিপ্লোমার গুরুত্ব অনেক বেশি।”
১৫ বছরে উইম্বলডনে খেলা গফ এবং ১৮ বছরে ফরাসি ওপেনের সেমিফাইনালে ওঠা গফের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। সবচেয়ে বড় বদল এসেছে মানসিকতায়। গফ এখন অনেক বেশি পরিণত। তাই জন্যেই তিনি বলতে পারেন, “আপনার চাকরি বা কত টাকা আপনি রোজগার করেন সেটা ব্যক্তি হিসেবে আপনার পরিচয় দেয় না। যত দিন আপনি নিজেকে ভালবাসছেন, তত দিন বাকিরা কে কী ভাবল সেটা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। গত বছর আমি সবার প্রত্যাশা পূরণ করার জন্য খুবই ব্যস্ত ছিলাম। এখন আমার টেনিসজীবন যে মোড়েই থাকুক না কেন, মানুষ হিসেবে আমি খুশি।”
সিঙ্গলস সেমিফাইনালে গফ খেলবেন মার্টিনা ত্রেভিসানের বিরুদ্ধে। মহিলা ডাবলসে গফ এবং জেসিকা পেগুলা জুটির প্রতিপক্ষ আনা বোন্দার এবং গ্রিট মিনেন জুটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy