চব্বিশ ঘণ্টারও কম সময়ে তিন-তিনটে খেতাব ঢুকছে দেশের ট্রফি ক্যাবিনেটে— শেষ কবে এমনটা হয়েছে খুঁজতে বসলে উত্তর পাওয়া কঠিন নয়, অসম্ভব। কারণ ভারতীয় খেলাধুলোর ইতিহাস এ রকম উজ্জ্বল চব্বিশ ঘণ্টা এর আগে কোনও দিন প্রত্যক্ষ করেনি।
শুরুটা করেছিলেন সানিয়া মির্জা। মার্টিনা হিঙ্গিসকে নিয়ে মেয়েদের ডাবলস খেতাব জিতে। ভারতীয় সময়ে সেটা ছিল শনিবারের গভীর রাত। আর রবিবার মধ্যরাত পেরনোর আগে হিঙ্গিসকে নিয়েই মিক্সড ডাবলস খেতাব তুললেন লিয়েন্ডার পেজ। যার মাত্র ঘণ্টাখানেক আগে ছেলেদের জুনিয়র ডাবলস জিতে ফেলেছে ভারতেরই সুমিত নাগাল।
এর পর যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠবে, স্বাভাবিক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়, ক্রীড়াজগতের নক্ষত্র, বলিউ়ড তারকা— সবাই অভিনন্দনে ভরিয়ে দিয়েছেন তিন ভারতীয়কে। সানিয়াকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন অমিতাভ বচ্চন, সচিন তেন্ডুলকর। আর এ দিন ট্রফির হ্যাটট্রিক হওয়ার পর প্রথম টুইটটা করেন অনুষ্কা শর্মা। যিনি দিনকয়েক আগেই বিরাট কোহলির সঙ্গে উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে হাজির ছিলেন রজার ফেডেরারের সেমিফাইনাল দেখতে। ‘‘সানিয়া আর লিয়েন্ডার, তোমাদের অভিনন্দন। তোমরা দেশের অনেক তরুণের কাছে অনুপ্রেরণা।’’ পেজের বহু বছরের সতীর্থ মহেশ ভূপতির কথায়, ‘‘লিয়েন্ডার, সানিয়া, সুমিত, দারুণ পারফরম্যান্স! তোমাদের জন্যই উইম্বলডনে এটা ভারতীয় গ্রীষ্ম হয়ে থাকল!’’
সেন্টার কোর্টে লি-মার্টিনার জয়ের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন সৌরভও।
সানিয়ার শহরের বিখ্যাত প্রাক্তন ক্রিকেটার ভিভিএস লক্ষ্মণ বলেছেন, ‘‘লিয়েন্ডার আবার প্রমাণ করে দিল যে বয়স স্রেফ একটা সংখ্যা। এখনও উন্নতি করে যাচ্ছে ও!’’ বিয়াল্লিশের লিয়েন্ডারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সাইনা নেহওয়াল। লি-মার্টিনার ফাইনালের প্রত্যক্ষদর্শী ফারহান আখতারের টুইট, ‘‘অবিশ্বাস্য ম্যাচ!’’ আর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘লিয়েন্ডার তুমি ভারত, বাংলা ও কলকাতার মানুষকে গর্বিত করলে। ওয়েল ডান। বাড়ি ফিরলে আমাদের তরফ থেকে বিশেষ সন্দেশ যাবে।’’
ছবি: এএফপি, টুইটার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy