ফুটবল মাঠে তাঁদের লড়াই তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে। কখনও বিতর্ক, কখনও তীব্র উত্তেজনায় শেষ হয়েছে যুদ্ধ। কিন্তু মাঠের বাইরে বিশ্ব ফুটবলের শাসন হাতে রাখতে এক হয়ে যাচ্ছে জার্মানি-ফ্রান্স। যে ফর্মুলায় এগোচ্ছে দুটো দেশ, তার হিসাবটা খুব সোজা। দেওয়া আর নেওয়া।
ফিফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের যুদ্ধে জার্মানি দাঁড়াচ্ছে মিশেল প্লাতিনির পাশে। প্লাতিনি যদি শেষ পর্যন্ত ফিফা প্রেসিডেন্ট হয়ে যান, তখন নাকি উয়েফা চলে আসবে জার্মানির হাতে। জার্মান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট উলফগ্যাং নিয়ের্সবাখ হয়ে যাবেন উয়েফার সর্বেসর্বা।
ফিফা-কেলেঙ্কারি নিয়ে জার্মানরা কতটা উত্তেজিত, তা পরিষ্কার বুন্দেশলিগা সিইও ক্রিশ্চিয়ান সেইফার্টের কথায়। বলছিলেন, ‘‘ব্লাটারকে নিয়ে আলাদা করে বলতে চাই না। বলব ফিফা নিয়ে। ফিফা যে অবস্থায় পড়েছে, তার জন্য বর্তমান ম্যানেজমেন্ট দায়ী। এটা বদলানোর সময় এসেছে।’’ সেই বদল আনতে যে জার্মানদের কাছে প্লাতিনি সেরা অস্ত্র, তা স্বীকার করছেন সেইফার্ট। ফিফা নির্বাচনে জার্মানদের ভোটটা তা হলে কার পাশে পড়বে? প্লাতিনির? সামান্য চুপ থেকে বুন্দেশলিগা মহাকর্তা বলে দিলেন, ‘‘হ্যাঁ।’’
ফরাসিদের সঙ্গে হাত মেলালেও, জার্মানি-ইংল্যান্ড শত্রুতা যে এখনও রয়েছে, তা ধরা পড়ে সেইফার্টের কথায়। ইপিএলের সঙ্গে বুন্দেশলিগার তুলনা উঠতে বলছেন, ‘‘উয়েফার একটা সরকারি র্যাঙ্কিং আছে বিশ্ব ফুটবল লিগের। আমরা দু’নম্বরে। ইপিএলের উপরে।’’ ইপিএলের ‘স্টার ভ্যালু’ আর বিশাল প্লেয়ার্স স্যালারির কথা উঠতেই কাঠকাঠ জবাব, ‘‘ইংল্যান্ড ক’বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে? আমরা ক’বার? চ্যাম্পিয়ন হতে প্লেয়ার তৈরি করতে হয়। বুন্দেশলিগায় আমরা যে কাজটা করছি।’’ বোঝা যাচ্ছে, ফুটবল রাজনীতির ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে এক ‘শত্রু’র সঙ্গে হাত মেলালেও আর কারও দিকে হাত বাড়াতে তৈরি নয় জার্মানি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy