এক) গোয়ার গোলকিপার ইয়ান সেদা দারুণ। এই চেক কিপার এ দিন না থাকলে প্রথম ম্যাচের মতোই এ দিনও হেরে যেত জিকোর দল। সেদার আউটিং, গ্রিপিং, আত্মবিশ্বাস লেভেল খুব ভাল। ওকে গোল দেওয়া ফিকরুদের সহজ হবে না।
দুই) বিদেশি সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার দু’জন খুব ভাল। গোলকিপার আর জোড়া সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারের জন্যই এ দিন এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরেছে গোয়া। ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অখ্যাত রাষ্ট্র মার্টিনিকের গ্রেগরি আর্নোলিনের ডিফেন্সের পাশাপাশি অ্যাটাকিং কোয়ালিটিও চমত্কার। গোয়ার দু’ম্যাচেই ও গোল করল। এ দিন নর্থইস্টের আক্রমণের তোড়ে গ্রেগরি বেশি আক্রমণে আসতে পারেনি। দু’বার মাত্র আক্রমণে উঠে একটা গোল করেছে। ফ্রান্সের বেঙ্গেলুঁ-র সঙ্গে ডিফেন্সে ওর দারুণ বোঝাপড়া।
তিন) মাঝমাঠ গোয়ার সবচেয়ে দুর্বল দেখাল। ভীষণ কষ্ট লাগল রবার্ট পিরেসের খেলা দেখে! একজন বিশ্বকাপ জেতা ফুটবলার সম্পর্কে এ রকম কথা বলাটা হয়তো ধৃষ্টতা, কিন্তু যেটা সত্যি সেটা তো বলতেই হবে। আসলে আইএসএলে যে সমস্ত জগদ্বিখ্যাত বিদেশি ফুটবলার বিভিন্ন দলে খেলছে, তাদের মধ্যে ফিটনেসে সবচেয়ে পিছিয়ে মনে হচ্ছে ফ্রান্সের মিডফিল্ডার পিরেসকেই। শারীরিক সক্ষমতার অভাবে গোয়ার আক্রমণে কার্যকর হয়ে উঠতে পারছে না। জিকো এ দিন পিরেসকে বসানোর পরেই গোয়ার আক্রমণে কিছুটা ধার বাড়তে দেখা গিয়েছে।