কোচের সঙ্গে মার্কি ফুটবলার।
মাঠে নেমে পড়লেন আইএসএলে এফসি গোয়ার মার্কি ফুটবলার রবার্ট পিরেস। বুধবার তিলক ময়দানে দলের ব্রাজিলীয় কোচ জিকোর তত্ত্বাবধানে পুরো সময়ই অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে ফ্রান্স এবং আর্সেনালের এই প্রাক্তন ফুটবলারকে।
অনুশীলনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “ভারতে প্রথম দিন মাঠে নেমে ভালই লাগল। কিংবদন্তি জিকোর প্রশিক্ষণে মাঠে নামব ভাবলেই গর্ব হচ্ছে।” সঙ্গে এটাও বলতে ভোলেননি, “আইএসএল ভারতের ফুটবল গরিমা বাড়াবেই বাড়াবে। ইতিমধ্যেই গোটা বিশ্বে আইএসএল নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে।”
একই সঙ্গে গোয়া ও মুম্বইয়ের ফুটবলপ্রেমীদের নিয়েও উচ্ছ্বসিত পিরেস। তাঁর কথায়, “ফুটবলে এ দেশের ফিফা র্যাঙ্কিং ১৫৮। ভারতীয় ফুটবল নিয়ে কোনও ধারণাই ছিল না। মুম্বইয়ে নামার পরেই উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছিলাম। মঙ্গলবার গোয়ায় পা দিয়েই বিমানবন্দরে স্থানীয় ফুটবল-পাগল যে সমর্থকদের মুখোমুখি হলাম সেই আনন্দ ভোলার নয়। আমাকে নিয়ে এতটা উচ্ছ্বাস আশাই করিনি।” ফ্রান্সের হয়ে ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিকে প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি ১৯৯৮ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপজয়ী জিনেদিন জিদানের ফরাসি দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন এফসি গোয়ার এই ফুটবলার। দেশের হয়ে খেলেছেন ২০০০ সালের ইউরো কাপেও। দেশের হয়ে ৭৯ ম্যাচে ১৪ গোলও রয়েছে তাঁর।
ক্লাব ফুটবলে দু’হাজার সাল থেকে টানা ছ’বছর আর্সেনালের জার্সি গায়ে তিনটে এফএ কাপ এবং দু’টো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ-জয়ী দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। আর্সেনাল কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারের অন্যতম প্রিয় শিষ্য পিরেস সে কথা স্মরণ করে বলেন, “আর্সেন ওয়েঙ্গার আমার দ্বিতীয় বাবা। উনিই আমাকে ভারতে আইএসএলে খেলার ব্যাপারে উৎসাহ দিয়েছেন।” জিনেদিন জিদান, ত্রেজেগুয়েদের সতীর্থ বলেছেন, “জানি এ দেশে গরমের একটা সমস্যা হবে। তবে তার জন্য আমি তৈরি। এফসি গোয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছি ট্রফিটা জেতার জন্যই। পর্যটক হিসেবে নয়।”
পিরেসের যোগদানে খুশি দলের অন্যতম মালিক বিরাট কোহলিও। যদিও তিনি ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ভক্ত। কোহলির কথায়, “পিরেসের মতো ফুটবলারকে দেখে অনুপ্রেরণা পাবে ভারতীয় ফুটবলাররা। সঙ্গে জিকোর কোচিং পাওয়াটাও একটা প্রাপ্তিই বলা যায়। আইপিএল খেলার সুবাদে প্রচুর আত্মবিশ্বাসী ক্রিকেট প্রতিভা উঠে এসেছিল। আইএসএল ঠিক সেই কাজটাই করবে দেশের ফুটবল উৎকর্ষ বাড়ানোর জন্য।”
পিরেস যেমন ভারতে খেলতে এসে এ দেশের ফুটবল জনতাকে নিয়ে উল্লসিত, ঠিক তেমনই ভারতের ফুটবল সমর্থকরা মন জয় করেছেন নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড এফসি-র পর্তুগিজ ডিফেন্ডার মিগুয়েল গার্সিয়া। তিনি আবার বলছেন, “ইউরোপের বাইরে খেলার কথা ভাবছিলাম। আমার এজেন্ট আইএসএলের কথা বলতেই রাজি হয়ে গিয়েছিলাম। এ দেশের ফুটবল এবং সংস্কৃতিকে ভাল ভাবে জানাটাই আমার উদ্দেশ্য।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy