বুধবার ব্যাট করছেন হাসিব হামেদ। ছবি: এএফপি।
সেটা ২০০৪ সাল। ইংল্যান্ডে পাকাপাকি ভাবে থেকে যাওয়া ইসমাইল হামেদ স্বপরিবার এসেছিলেন মুম্বইয়ে। হাসিব হামেদের তখন বয়স সাত। তখনই ক্রিকটেপ্রেম জাকিয়ে বসেছে তাঁর মধ্যে। মুম্বইয়ে এসে সচিনকে দেখবেন না তা আবার হয় নাকি? ছুটে গিয়েছিলেন এমআইজি ক্লাবে। সৌভাগ্যবশত তখন ক্লাবের নেটে অনুশীলনে ব্যস্ত সচিন তেন্ডুলকর। হাসিবের বাবা সে দিনের ঘটনা আজও ভোলেননি। বলেন, ‘‘আমার মনে আছে আমরা তখন মুম্বইয়ে এসেছিলাম। ও এমআইজি ক্লাবে গিয়েছিল সচিনকে দেখতে। তখন সচিন নেটে ব্যাট করছেন। সচিনকে দেখে ও উত্তজিত ছিল খুব। আমি ওকে বুঝিয়ে বলেছিলাম সচিন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যান। তখন ও বলেছিল ও সচিনের মতো ব্যাটসম্যান হতে চায় আর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে চায়।’’
ইংল্যান্ডের হয়ে অভিষেক হয়েছে ছেলের। তাও আবার ভারতের মাটিতে। গ্যালারিতে বাবা থাকবেন না তা আবার হয় নাকি? বুধবার রাজকোটের গ্যালারিতে ছিলেন ইসমাইল হামেদ। শুধু তিনি নন হামেদের পুরো পরিবার হাজির হয়েছিল সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে। হাসিবের ব্যাট হাতে অভিষেক দেখতে। ৩১ রান করে তিনি এলবিডব্লু আউট হন অশ্বিনের বলে। শুরুটা যে মন্দ হয়নি বলাই যায়। ছেলের খেলা দেখে উচ্ছ্বসিত বাবা। ‘‘আমি অন্যান্য বাবার মতই। ও যখন ব্যাট করতে নামছিল আমি চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু যখন ব্যাটিং শুরু করল তখন ওর ব্যাটিং সবাই উপভোগ করেছি। আজ ও দারুণ খেলেছে। আমার আশা ও এখান থেকে আরও উন্নতি করবে।’’
প্রায় তিন দশক আগে সুরাট ছেড়ে বোল্টনে ঘাঁটি গেড়েছিল হাসিবের পরিবার। মুম্বইয়ের সঙ্গেও হাসিবের একটা যোগসূত্র রয়েছে। ২০১০এ এই মুম্বইয়েই একমাস ট্রেনিং নিয়েছিলেন কোচ বিদ্যা পরদকরের কাছে। পুলিশ জিমখানার হয়ে আটটি ফ্রেন্ডলি ম্যাচও খেলেছিলেন। গত বছরও হাসিবের ইচ্ছে ছিল ভারতে এসে পুলিশ শিল্ড খেলার। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি। ছেলে সম্পর্কে বলতে গিয়ে বার বার উচ্ছ্বসিত শুনিয়েছে হাসিবের বাবার গলা।
আরও খবর
পৈতৃক ভিটেয় ব্রিটিশদের হয়ে ব্যাট ধরবেন ভারতীয় হাসিব হামেদ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy