আবহটা তৈরি হচ্ছিল ক’দিন আগে থেকেই। একে তো যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন, তার উপর ব্রাজিল বনাম জার্মানি। যুব বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। ফুটবলের পারদ যে এক লাফে অনেকটা উচ্চতা পেড়িয়ে যাবে সেটাই স্বাভাবিক। টিকিটের হাহাকার, সঙ্গে যুবক থেকে বৃদ্ধ, কলেজ ছাত্রী থেকে সিরিয়ালে মুখ গুঁজে থাকা গৃহবধু সবাই যেন একসুরে গাইতে শুরু করেছে বিশ্বকাপের মন্ত্র। ফুটবলের কলকাতা ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান থেকে বেরিয়ে অন্য স্বরলিপি লিখছে শুধুমাত্র এই বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করেই। বিশ্বকাপের ছোঁওয়া পাওয়া কলকাতা প্রথম থেকেই পাশে থেকেছে বিশ্ব ফুটবলের। গ্যালারি ভরিয়েছেন প্রচুর মানুষ। রবিবারের যুবভারতী তাই বিশ্ব ফুটবলের মন্ত্র নিয়ে তৈরি। টিকিট শেষ অনেক আগেই। দুপুর থেকেই স্টেডিয়ামের বাইরে দীর্ঘ লাইন। যত আগে ঢুকে পড়া যায় আর কী। বেলেঘাটা মোড় থেকে পিল পিল করে লোক চলেছে স্টেডিয়ামের পথে। বেলেঘাটা মোড় থেকে ডানদিকে ঘুরে সাই পেরিয়ে কিছুটা গেলেই শুরু হয়ে যাচ্ছে স্টেডিয়ামে ঢোকার গেট। তার সামনে লম্বা লাইন। স্বপরিবারে ফুটবল দেখতে হাজির উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিমের অনেকেই। সঙ্গে পুলিশের কড়া নজর। গাড়ি থেকে তিন নম্বর গেটের সামনে নামতেই দেখা হয়ে গেল ব্রাজিলের পতাকার রঙে ফেট্টি বিক্রেতার সঙ্গে। কিনে সঙ্গে সঙ্গে মাথায় বেঁধে নিল গড়িয়ার মুখোপাধ্যায় পরিবার। পরিবারের কর্তা, গিন্নি, সঙ্গে দুই ছেলে-মেয়ে। সকলেই ব্রাজিল সমর্থক। বলে দিলেন, ‘‘আজ আমরা ব্রাজিলের জন্যই গলা ফাটাব। এত দিন টিভির সামনে বসে চিৎকার করেছি। আজকে মাঠে সুযোগ পাচ্ছি, কেউ ছাড়ে?’’
আরও পড়ুন: অতীতকে সঙ্গে নিয়ে লড়াইটা আসলে ভবিষ্যতের
আরও পড়ুন: ম্যাচ জিতে ছেলে মাতেওর গানের ভিডিও পোস্ট করলেন মেসি