Advertisement
E-Paper

হিউজ-তদন্তের শেষে তিক্ততা

গত সোমবার আশার সামান্য আলো নিয়ে শুরু হয়েছিল ফিলিপ হিউজের অকালমৃত্যুর তদন্ত। কিন্তু তদন্ত শেষে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটমহলে ফের শোক আর যন্ত্রণার ছায়া।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০১৬ ০৩:৫০

গত সোমবার আশার সামান্য আলো নিয়ে শুরু হয়েছিল ফিলিপ হিউজের অকালমৃত্যুর তদন্ত। কিন্তু তদন্ত শেষে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটমহলে ফের শোক আর যন্ত্রণার ছায়া। হিউজ পরিবারে তো বটেই। এতটাই যে, গত শুক্রবার তদন্ত নিয়ে আলোচনা চলাকালীনই তাঁরা সেখান থেকে বেরিয়ে যান। শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচে ব্যাট করার সময় বাউন্সারের আঘাতে প্রাণঘাতী চোট পেয়েছিলেন হিউজ। ২০১৪ নভেম্বরে তাঁর মৃত্যুর প্রায় দু’বছর পর সাউথ ওয়েলস করোনার নতুন তদন্ত শুরু করেন। হিউজের মৃত্যুর জন্য কাউকে দোষী সাব্যস্ত করতে নয়। তাঁর মৃত্যুর পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখে যদি নিরাপত্তা আরও উন্নত করা যায়, সেই রাস্তার খোঁজে।

কিন্তু তদন্তে বেরিয়ে আসে নানা অস্বস্তিকর তথ্য। ফিলের বাবা গ্রেগ দাবি করেন, তাঁর ছেলের কর্মক্ষেত্র ‘‘বিপজ্জনক’’ ছিল। হিউজ পরিবার বলে যে, ফিলকে সেই ম্যাচে বেশি বাউন্সার সামলাতে হয়েছিল। পেসার ডাগ বোলিঞ্জার নাকি ফিলকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদেরও জেরা, পাল্টা জেরা চলতে থাকে এবং গোটা ব্যাপারটা অন্য দিকে ঘুরে যায়। শন অ্যাবট, যিনি সেই বাউন্সারটা দিয়েছিলেন। ব্র্যাড হাডিন, যিনি হিউজের টিম নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্যাপ্টেন ছিলেন। টম কুপার, যিনি সে দিন নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে ছিলেন। এঁদের সবাইকেই সাক্ষ্য দিতে হয়। ‘নেচার অফ প্লে’ নিয়ে এমন দীর্ঘ তর্ক-বিতর্ক চলতে থাকে যে, দিনের শেষে পরোক্ষ ভাবে হলেও যেন এঁরা হিউজ-মৃত্যুর জন্য দায়ী থেকে গেলেন। এবং তদন্ত শেষে অনেকেরই মনে হচ্ছে, এর কি আদৌ দরকার ছিল? ক্রিকেটারদের কাঠগড়ায় তুলে, দু’বছর আগের দুঃস্বপ্নের স্মৃতি ফিরিয়ে এনে, শোকতপ্ত পরিবারকে নতুন যন্ত্রণায় ফেলে কোনও উপকার কি আদৌ হল?

Phillip Hughes Death investigation
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy