Advertisement
E-Paper

পোকার কামড় থেকে সংক্রমণ, লাইম রোগে আক্রান্ত সেরিনা উইলিয়ামসের স্বামী অ্যালেক্সিস

সেরিনা উইলিয়ামসের স্বামী অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান আক্রান্ত লাইম রোগে। আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর। কী ভাবে এই অসুখ হয়? কী ভাবেই বা তার চিকিৎসা হয়?

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৪ ১৭:০২
tennis

(বাঁ দিকে) সেরিনা উইলিয়ামস ও তাঁর স্বামী অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান। ছবি: এক্স।

সেরিনা ইউলিয়ামসের স্বামী অ্যালেক্সিস ওহানিয়ান অসুস্থ। লাইম রোগে আক্রান্ত তিনি। নিজেই সে কথা জানিয়েছেন অ্যালেক্সিস। আপাতত চিকিৎসা চলছে তাঁর।

নিজের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে অসুখের কথা জানিয়েছেন অ্যালেক্সিস। তিনি বলেন, “শারীরিক পরীক্ষার পরে দেখা গিয়েছে আমার লাইম রোগ হয়েছে। অদ্ভুত। কোনও উপসর্গ দেখা দেয়নি। ভাগ্য ভাল যে রোগ ধরা পড়েছে। এ বার চিকিৎসা হবে।”

অ্যালেক্সিস জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে তাঁর এক প্রিয় জনের এই রোগ হয়েছিল। তিনিও সুস্থ হয়েছেন। অ্যালেক্সিস বলেন, “কয়েক বছর আগে আমার এক প্রিয় জনের এই রোগ হয়েছিল। তবে ওর শরীরে প্রচুর উপসর্গ দেখা গিয়েছিল। শারীরিক পরীক্ষার পরে ওর রোগ ধরা পড়েছিল। চিকিৎসার পরে ও সুস্থ হয়ে উঠেছিল। তবে আমি তো জঙ্গলে খুব একটা বেশি সময় কাটায়নি। তার পরেও কী ভাবে এই রোগ হল কে জানে।”

কী এই লাইম রোগ?

ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণের ফলে এই রোগ হয়। এক ধরনের পোকার কামড় থেকে শরীরে এই রোগের জীবাণু প্রবেশ করে। কানেকটিকাটের লাইম শহরে ১৯৭৫ সালে এই রোগ প্রথম ধরা পড়েছিল। সেই কারণে একে লাইম রোগ বলা হয়।

কী ভাবে এই সংক্রমণ হয়?

সাধারণত জঙ্গলে অনেক বেশি সময় কাটালে এই ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। ইঁদুর বা হরিণের শরীরে এই রোগের জীবাণু থাকে। সেখান থেকে এক ধরনের পোকার মাধ্যমে তা মানুষের শরীরে সংক্রামিত হয়। দেহের খোলা অংশে যদি এই রোগের জীবাণু বহন করা পোকা কামড়ায় ও সেই পোকা সেখানে ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা থাকে তা হলে তার লালা থেকে এই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের রক্তে প্রবেশ করে। তখনই এই রোগ বাসা বাঁধে তাঁর শরীরে।

কী কী উপসর্গ দেখা দেয়?

লাইম রোগ হলে তার প্রাথমিক উপসর্গ হল দেহের বিভিন্ন অংশে গোলাকৃতির লাল রঙের র‌্যাশ। পোকা কামড়ানোর ৩ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে এই র‌্যাশ দেখা যায়। তবে সকলের শরীরে তা দেখা যায় না। পাশাপাশি জ্বর, মাথা ব্যথা, ক্লান্তি ও পেশিতে যন্ত্রণা হয়।

লাইম রোগ কি গুরুতর?

যদি ঠিক সময়ে এই রোগ ধরা না পড়ে তা হলে সমস্যা হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ধীরে ধীরে আরও নানা উপসর্গ দেখা দেয়। মুখ বেঁকে যেতে পারে। শরীর ফুলে যেতে পারে। হৃদ্‌যন্ত্রের অস্বাভাবিক সঞ্চালন হতে পারে। তবে যদি ধরা পড়ে তা হলে এই রোগের চিকিৎসা আছে। তবে তা সময় সাপেক্ষ। দীর্ঘ দিন চিকিৎসা চলে। আক্রান্তের রক্ত পরীক্ষা করে সেই অনুযায়ী ওষুধ দেওয়া হয়। এই সময় শরীর ঢাকা পোশাক পরে থাকতে হয়। ঘরের বাইরে খুব একটা বার হতে নিষেধ করেন চিকিৎসকেরা। নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর শারীরিক পরীক্ষা করাতে হয়। চিকিৎসকেরা খেয়াল রাখেন, শরীরে র‌্যাশ খুব বেশি বার হচ্ছে কি না।

Serena Williams Tennis
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy